নিজস্ব প্রতিবেদন : দৃষ্টি শক্তি নেই। তবে তাতে কী? মনের দৃষ্টি তো রয়েছে। আর তাতে ভরসা করেই বিউটি কনটেস্টের বিচারকের পদে বসছেন আসলে নেমথ। প্রতিযোগিতার নাম 'মিসেস কানাডা গ্লোব পেজেন্ট'। তাতেই বিচারকের আসনে দেখা যাবে নেমথকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলাপ করুন, ইনিই সেই বিচারক...



আসলে নেমথের কথায়,  তাঁর কাছে যখন প্রথম প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে বসার প্রস্তাব এল, তখন তিনি ঠিক বুঝতে পারছিলেন না যে ঠিক কী করা উচিত?  তারপর তিনি ভাবলেন যে সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক হয় না। ,আসল সৌন্দর্য হয় অন্তরের। আর সেভাবেই তিনি 'মিসেস কানাডা গ্লোব পেজেন্ট'কে নির্বাচিত করবেন।


'মিসেস কানাডা গ্লোব'-এর ডিরেক্টর কিম ক্যাসেল অবশ্য আসলে নেমথের ৬ নম্বর বিচারকের আসনে বসা নিয়ে ভীষণ উৎসাহী। কিমের কথায় ''বিচারকের আসনে বসতে নেমথের রাজি হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কারোর কোনও কিছু থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়।'' পাশিপাশি তিনি আরও বলেন, ''যে এটা সত্যইই একটা দারুন বিষয় যে 'মিসেস কানাডা গ্লোব পেজেন্ট' প্রতিযোগিতার বিচারক হিসাবে এমন একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি দৃষ্টিশক্তি হীন। এতে প্রতিযোগিতায় যিনি সেরা নির্বাচিত হবেন তিনি কোনও রকম বাহ্যিক সৌন্দর্যের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।''


প্রসঙ্গত, আসলে নেমথের এই সমস্যা ছোট থেকেই। এবং তা পরিবারিক সূত্রেই এই ব্যাধি নেমথের মধ্যে সঞ্চারিত হয়, এবং ধীরের ধীরে যখন তাঁর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় তখন তিনি কিশোরী। যে রোগের নাম 'ocular albinism'।


আরও পড়ুন- ফাঁস! 'ঠগস অফ হিন্দুস্থান'এ আমির ও ফাতিমার নাচের দৃশ্য ভাইরাল