টলিপাড়ার দোল
দোলে কী করছেন সেলেব্রিটিরা? রঙের উত্সব কী ভাবে কাটান তাঁরা? ২৪ ঘণ্টা-কে খোলামেলা সাক্ষাত্কারে জানালেন টলি পাড়ার সেলেবরা।
দেব: আগে থেকে সব প্ল্যান করে রাখতাম। বান্ধবীদের রঙ লাগানোর সময় টার্গেট করে রাখতাম। দোল সাধারণত `ভ্যালেন্টাইন্স ডে`র মতই আরেকটি দিন, যেদিন রঙ মাখানোর জন্য লাইসেন্স পাওয়া যায়।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: খুব মজা করতাম একটা সময়। স্কুলে লুকিয়ে লুকিয়ে আবির নিয়ে যেতাম। অফ পিরিয়ডে রঙ খেলে একেবারে ভূতের ওপর হয়ে বসে থাকতাম। টিচাররা এসে বকাবকি করলে তখন পরিষ্কার হয়ে ক্লাসে বসতাম। দোলের পরের দিনটাতেই এরকম হতো।
অর্জুন চক্রবর্তী: বেশ কয়েকবছর হল রঙ খেলছি না। অল্প আবির খেলা , বড়দের পায়ে একটু আবির দেওয়া ওইটুকুই ঠিক আছে। রঙ খেলতে তেমন ভালো লাগে না। তবে, বারান্দায় বসে অন্যদের রঙ খেলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। বসন্ত কালের প্রেম নিয়ে খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই আমার। আশা করি সকলেরই দোল ভালো কাটবে। ভালো থাকবেন সবাই।
স্বস্তিকা: একসময় সকাল থেকেই বন্ধু-বান্ধবরা বাড়ি চলে আসত। সেইজন্য সকাল থেকেই বেড়োনো, রঙ খেলা তারপর প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতাম। বাবা বলতেন এরকম রঙ মেখো না যেটা উঠবে না। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটাই হোত। তিন চারদিন ধরে রঙ তোলার একটা এপিসোড চলত। চামড়া উঠে যাওয়ার জোগাড় যাকে বলে। যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে যখন পড়তাম তখনও খুব মজা করেছি। সাতদিন ধরে দোল চলত। একবার খুব রঙ খেলে ভূত হয়ে ১৭-১৮ জনের একটা গ্রুপ গিয়েছিলাম দক্ষিণাপনে চা খেতে। দোলকে ঘিরে আমার অনেক আনন্দের সব মেমোরি আছে। তবে এই বছর দোলের সময় আমার শান্তিনিকেতনে শুটিং রয়েছে।