নবাবী সুবাসে রাজধানীতে বধূবরণ
মুঘলাই দাওয়াত-ই-ওয়ালিমা দিয়ে শেষ হল সইফিনার পাঁচদিনের বিবাহ পর্ব। সেদিক দিয়ে দেখতে গেল কালই ছিল নবাবী বিয়ের দশমী। দুর্গাপুজোর বিজয়ার মতই দিল্লির অওরঙ্গজেব রোডের সরকারি বাংলোয় একদিনের জন্য সদ্য গজিয়ে ওঠা সইফ-করিনার মুঘল প্যালেসও পরিণত হয়েছিল মিলন মেলায়।
মুঘলাই দাওয়াত-ই-ওয়ালিমা দিয়ে শেষ হল সইফিনার পাঁচদিনের বিবাহ পর্ব। সেদিক দিয়ে দেখতে গেল কালই ছিল নবাবী বিয়ের দশমী। দুর্গাপুজোর বিজয়ার মতই দিল্লির অওরঙ্গজেব রোডের সরকারি বাংলোয় একদিনের জন্য সদ্য গজিয়ে ওঠা সইফ-করিনার মুঘল প্যালেসও পরিণত হয়েছিল মিলন মেলায়। রাজনীতি, টিনসেল টাউন থেকে বাইশ গজ সবকিছুরই ঝলক দেখা গেল পতৌদিদের নবাবী ভোজসভায়।
ঠিক রাত আটটায় জুঁই ও রজনীগন্ধা ফুলে সুসজ্জিত, সুরভিত ক্রিম রঙের পর্দা উঠে গেল। মণীশ মালহোত্রার ওল্ড ওয়ার্ল্ড পিঙ্ক ঘরারা আর রঘুবেন্দ্র রাঠোরের ডিজাইনার আচকানে নবদম্পতি অভ্যর্থনা জানালেন ধানমন্ত্রীর স্ত্রী গুরসরন কৌর, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, দিগ্বিজয় সিং, রেনুকা চৌধুরি, শশী থারুর, ফারুক আবদুল্লাহ, রাজীব শুক্লা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সিকারাম ইয়েচুরি, অরুন জেটলি, শিলা দীক্ষিত, মন্টেক সিং আহলুওয়ালিয়া, অমর সিং মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। শর্মিলা ঠাকুরের দাওয়াত বলে কথা কপিল দেব, অজয় জাদেজা তুলে এনেছিলেন খেলার ময়দান। শিল্পপতি শিব নাদার, সুব্রত রায়, উস্তাদ আমজাদ আলি খান, ডিজাইনার ঋতু কুমার, আর্টিস্ট অ্যাঞ্জোলি এলা মেনন, নন্দিতা মেনন, প্রসূন যোশি-শর্মিলা ঠাকুরের স্পেশ্যাল দাওয়াতে বাদ পড়েননি কেউই। মুঘল থিমের সঙ্গে মানানসই ছিল হোস্টের সোলানি শাড়ি, সবুজ খানদানি অলঙ্কার আর আভিজাত্য। অভূতপূর্ব মুঘলাই ভোজের বহুল প্রশংসা শোনা গেল কপিল দেবের গলায়। সইফ-করিনাকে মুম্বইয়ের পারফেক্ট জোড়ি বললেন মধুর ভান্ডারকর।
মুঘলাই আমেজ আনতে প্যালেস সাজানো হয়েছিল ২০০ বছরের পুরনো অ্যান্টিক আসবাব দিয়ে। অফ-হোয়াইট ও সোনালি মগরা ফুলের সুগন্ধে ভরে ছিল সারা সন্ধে।