নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক করোনা সংক্রমণজনিত অসুস্থতার জেরে মারা গেলেন। উত্তরকালের জন্য রেখে গেলেন তাঁর অতুল গানসম্ভার।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ মিতা হকের (Mita Haque) মৃত্যু হয় বলে জানান তাঁর জামাতা মোস্তাফিজ শাহিন। বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। 


Covid-19 সংক্রমণজনিত অসুস্থতার জেরে প্রয়াত একুশে পদকজয়ী (Ekushey Padak-winning) এই রবীন্দ্রগানের (Rabindra Sangeet singer) শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন: খুব ভাল গাইস, কিন্তু বিক্রি হইব না', সুবিনয়ের গান শুনে বলেছিলেন দেবব্রত!


শিল্পীর পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে মিতা হকের মরদেহ ছায়ানট প্রাঙ্গণে রাখা হবে। পরে কেরাণীগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সারা হবে।


১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন মিতা হক। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক পান তিনি। ২০২০ সালে তাঁকে একুশে পদক দেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রয়াত অভিনেতা ও নির্দেশক খালেদ খান ছিলেন মিতার স্বামী। খালেদ খান ও মিতা হকের একমাত্র সন্তান ফারহিন খান জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।


মিতা তাঁর কাকা রবীন্দ্রগবেষক ওয়াহিদুল হকের কাছে এবং সনজীদা খাতুন ও উস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শিখেছিলেন। ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত অ্যালবাম 'আমার মন মানে না'। এরপর বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে মোট ২৪টি অ্যালবাম প্রকাশ হয় তাঁর।


তিনি 'সুরতীর্থ' নামে তিনি একটি গানের স্কুলও পরিচালনা করতেন।


তাঁর গানে কিছুটা যেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সুবিনয় রায়ের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বলে মনে করেন সঙ্গীতবিশ্লেষকেরা। যে গান তিনি রেখে গেলেন তার মধ্যে দিয়েই তিনি বেঁচে থাকবেন। 


আরও পড়ুন: টেকনিক, স্টাইল, অরা সব কিছুতেই উত্তমের কাছে হেরেই গেলেন কি সৌমিত্র?