Ghetto Classic Jazz: বাঙালি লেখিকার উদ্যোগে নাইরোবিতে ফের গেটো ক্লাসিকস্ জ্যাজ মিউজিকের আসর…
Ghetto Classic Jazz: একক কণ্ঠসঙ্গীত,সমবেত সঙ্গীত, হিপ হপ নৃত্য এবং একচল্লিশ জনের অর্কেস্ট্রার মিলিত নিবেদন নিয়ে হাজির হল এই গেটো ক্লাসিকস। এটা নাইরোবির আর্ট অফ মিউজিক ফাউন্ডেশনের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম।কেনিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তিগুলির মধ্যে একটি যেখানে প্রায় নাইরোবির আশেপাশে নটি স্যাটেলাইট এলাকায় শহরের তিন লক্ষ দরিদ্র এবং এক হাজারেরও বেশি শিশু, একজন কিয়াম্বুতে এবং চারজন মোম্বাসায়, অর্কেস্ট্রা ফর স্কুল ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে মিউজিক শেখে।
![Ghetto Classic Jazz: বাঙালি লেখিকার উদ্যোগে নাইরোবিতে ফের গেটো ক্লাসিকস্ জ্যাজ মিউজিকের আসর… Ghetto Classic Jazz: বাঙালি লেখিকার উদ্যোগে নাইরোবিতে ফের গেটো ক্লাসিকস্ জ্যাজ মিউজিকের আসর…](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/02/18/407442-nairobi.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনন্যা পাল কলকাতার মেয়ে হলেও দীর্ঘ বছর কর্মসূত্রে বিদেশেই থাকেন। বর্তমানে কেনিয়া নিবাসী। বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর অনুরাগের ফসল স্বরূপ আমরা পেয়েছি গোয়েন্দা "পুষ্পকেতু"কে। কিছু মাস আগেই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে অনন্যা সেই চরিত্রের অবয়বের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। নাইরোবিতে এবার অনন্যার উদ্যোগে ফিরে এলো সে দেশের জ্যাজ মিউজিকের অনুষ্ঠান।গত ৪ ফেব্রুয়ারি নাইরোবির জালারাম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হল গেটো ক্লাসিকস্ এর অনুষ্ঠান। কি এই গেটো ক্লাসিকস্?
আরও পড়ুন- Actor Death: অ্যাওয়ার্ড নিতে গিয়ে আচমকাই অজ্ঞান, প্রয়াত শাহরুখের সহ অভিনেতা শাহনওয়াজ প্রধান...
একক কণ্ঠসঙ্গীত,সমবেত সঙ্গীত, হিপ হপ নৃত্য এবং একচল্লিশ জনের অর্কেস্ট্রার মিলিত নিবেদন নিয়ে হাজির হল এই গেটো ক্লাসিকস। এটা নাইরোবির আর্ট অফ মিউজিক ফাউন্ডেশনের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম।কেনিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তিগুলির মধ্যে একটি যেখানে প্রায় নাইরোবির আশেপাশে নটি স্যাটেলাইট এলাকায় শহরের তিন লক্ষ দরিদ্র এবং এক হাজারেরও বেশি শিশু, একজন কিয়াম্বুতে এবং চারজন মোম্বাসায়, অর্কেস্ট্রা ফর স্কুল ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে মিউজিক শেখে। ওখান স্কুলে এরা পড়াশোনা করে। মূলত ইংরেজি এদের পড়াশোনার প্রধান ভাষা।এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা সেখানকার তরুণদের নিজেদের ভালো করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সঙ্গীত শিক্ষা ব্যবহার করেছেন। অধ্যয়ন জীবনকে শৃঙ্খলাপরায়ন করে তোলে, পাশ্চাত্য মিউজিক নিয়ে এখানে সঙ্গীত শেখান হয়। এই প্রকার কর্মসূচী তাদের আয় সৃষ্টির সুযোগও প্রদান করে।ব্রাশ ইন্সট্রুমেন্ট, স্ট্রিং ইনস্ট্রুমেন্ট, তালবাদ্য সব মিলিয়ে একচল্লিশ জনের যুবক মিউজিশিয়ানরা তুলে ধরলেন দুই দেশের মেলবন্ধন। পাশ্চাত্য সুরের পাশাপাশি স্থানীয় লোকসঙ্গীত পরিবেশিত হলো। অনন্যা বললেন, "করোনার জন্য এখানে দুবছর ধরে জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল হয়নি। এই যুবক-যুবতীদের একটা মঞ্চ করে দেওয়ার জন্য এই আয়োজন করেছিলাম। এঁদের কাজ আরো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক এটা আমাদের লক্ষ্য।"
অনন্যা পাল প্রোডাকশন বিভিন্ন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যেমন; ভারতীয় নাচ, নাটক, ইতিহাস সংক্রান্ত কাজ, সঙ্গীত জ্যামিং সেশন এবং স্টেজ কনসার্ট। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য একটা মঞ্চ তৈরি করা, বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সর্বোপরি জনসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সীমান্ত ও মহাদেশের বাইরের মানুষের সাথে এই কাজ করা হয়।প্রথম অংশটিতে অনন্যা পাল প্রোডাকশন এর নিবেদন প্রতিভাবান শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল নানা ভাষার গানের গ্রুপ মেডলে, শিসধ্বনি, ভারতীয় তালবাদ্য,একক কন্ঠসঙ্গীত প্রভৃতি।