জন্মদিনে আশা ভোঁসলে, রইল তাঁর গাওয়া কিছু কালজয়ী গান
তিনি কিংবদন্তি, ভারতীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় তিনি কালজয়ী। আজ, ৮ সেপ্টেম্বর ৮৫-তে পা দিলেন সেই মেলোডি কুইন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে মেলোডি, পপ হোক বা লোকসঙ্গীত সবেতেই হৃদয় ছুঁয়েছে আশাজির সুরমূর্ছনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি কিংবদন্তি, ভারতীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় তিনি কালজয়ী। আজ, ৮ সেপ্টেম্বর ৮৫-তে পা দিলেন সেই মেলোডি কুইন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে মেলোডি, পপ হোক বা লোকসঙ্গীত সবেতেই হৃদয় ছুঁয়েছে আশাজির সুরমূর্ছনা।
ছয়ের দশকে যখন গীতা দত্ত, শামসাদ বেগম, লতা মঙ্গেশকরের রাজত্ব, ঠিক তখনই বলিউডে আসেন আশা ভোঁসলে। বলিউডে তাঁর প্রবেশ খুব একটা সহজ হয়নি। তাঁকে ভালো কোনও গান দিতে চাননি প্রথিতযশা সঙ্গীত পরিচালকরা, দেওয়া হত অপেক্ষাকৃত কম বাজেটের সিনেমার গান। তবে তিনি আশা ভোঁসলে। নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়েই ধীরে ধীরে বলিউডে জায়গা করে নেন। ১৯৫৩ সালে পরিচালক বিমল রায় তাঁকে তাঁর 'পরিণীতা' সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। তারপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
শোনা যায়, খোদ রাহুল দেব বর্মনও নিশ্চিত ছিলেন না কে সেরা? তিনি বলেছিলেন, '' আশাকে দিয়ে যেকোনও গান গাওয়ানো যায়, তবে কিছু গান আবার লতা ছাড়া সম্ভব নয়।'' একই কথা প্রসঙ্গে গীতিকার, পরিচালক গুলজার বলেছিলেন, ‘চাঁদে দুটি লোক একই সঙ্গে নামল। তুমি যে প্রথম পা দিল, তাকে নিয়ে এমন নাচানাচি শুরু করলে যে অন্য লোকটার কথা ভুলেই গেলে। আরে, সে–ও তো ভাই চাঁদে একই সঙ্গে গিয়েছে।’ আশা ভোসলে তেমনি দ্বিতীয় জন।
আশা ভোসলের কেরিয়ারের মাইল ফলক হিসাবে ১৯৫৭-র 'নয়া দৌড়', ১৯৬৬-র 'তিসরি মঞ্জিল' ১৯৮১-র 'উমরাও জান' ১৯৯৫-এর ' রঙ্গিলা' সিনেমাকে। তারপর দীর্ঘ ৬০ বছর বলিউডে রাজত্ব করেছেন আশা ভোঁসলে। তবে শুধু বলিউড নয়, বিভিন্ন ভাষায় ১২০০-রও বেশি গান গেয়েছেন। ২০১১ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে সর্বাধিক প্লেব্যাক গানের গায়িকার শিরোপা দেয়। ২০০৮ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধিকে ভূষিত করে ভারত সরকার। মেলোডি কুইনের জন্মদিনে ২৪ ঘণ্টার শ্রদ্ধার্ঘ। রইল এমনই কিছু গান।
আর ডি বর্মন ও আশা ভোঁসলের 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম'(১৯৭১) ফিল্মের 'দম মারো দম' গানটি কালজয়ী
মুমতাজের লিপে 'মেরা সনম'(১৯৬৫)'ইয়ে হ্যায় রেশমি জুলফো কা অন্ধেরা'গানটি আজও মু্গ্ধ করে, যেটির সুর করেছিলেন ও পি নাইয়ার। গানের কথাগুলি লিখেছিলেন মজরু সুলতানপুরী।
'কারাভান'(১৯৭১)ছবির হেলেন ও বিন্দুর লিপে'পিয়া তু আব তো আজা'গানটি গাওয়ার জন্য আশা ভোঁসলেই প্রথম পছন্দ ছিলেন।
১৯৫১ সালে 'উমরাও জান' ছবির জন্য 'ইন আঁখো কি মস্তি কে', 'জুস্তু জু জিস কি থি, উস কো না পায়া হাম নে', 'ইয়ে কেয়া জাগে হ্যায় দোস্তো' গানগুলি আজও কালজয়ী।
'রঙ্গিলা'(১৯৯৫) ছবির জন্য জ্যাকি শ্রফের বিপরীতে উর্মিলা মাতন্ডকরের লিপে 'তনহা তনহা' গানে আশা ভোঁসলে ছাড়া আর কাউকে ভাবেই যায় না।
ইজাজত (১৯৮৭) ছবির জন্য আশা ভোঁসলের গাওয়া 'মেরা কুছ সামান' গানটি পছন্দ নয়, এরকম মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে।
আশা ভোঁসলের গাওয়া গানগুলির মধ্যে এগুলি তো গুটিকতক গান, এছাড়া, 'আইয়ে মেহেরবা' ( হাওড়া ব্রিজ ১৯৫৮) 'আভি না যাও ছোড় কর' (হাম দোনো ১৯৬১), 'আও হুঁজুর তুমকো তুমকো সিতারো মে লে চলে' (কিসমত ১৯৬৮), 'দুনিয়া মে লোগ কো ধোকা হো জাতা হ্যায়' (আপনা দেশ ১৯৭২), 'চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে যো দিলকো' ( ইয়াদোঁ কি বারাত ১৯৭৩ ),'আও না, গলে লাগাও না' (জীবন সাথী ১৯৭২) সহ অসংখ্য অজস্র গান রয়েছে যেগুলি বারবার মনে করিয়ে দেয় যে আশাই সেরা।