বলিউডে `বেমানান` সৌমিত্র
বলিউডের জন্য তিনি বড়ই `বেমানান`। সেই কারণেই মুম্বই যাওয়ার চেষ্টা করেননি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। "বন্ধুদের দেখে শিখেছি। আমি নিশ্চিত ছিলাম বলিউড আমার জীবনযাত্রা বদলে দেবে। আমি ব্যর্থ হব। বলিউডে চূড়ান্ত বেমানান আমি।" ন্যাশনাল আওয়ার্ডের ঠিক আগের রাতে সাংবাদিকদের একথাই জানালেন এবছরের দাদা সাহেব ফালকে জয়ী বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।
বলিউডের জন্য তিনি বড়ই `বেমানান`। সেই কারণেই মুম্বই যাওয়ার চেষ্টা করেননি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
"বন্ধুদের দেখে শিখেছি। আমি নিশ্চিত ছিলাম বলিউড আমার জীবনযাত্রা বদলে দেবে। আমি ব্যর্থ হব। বলিউডে চূড়ান্ত বেমানান আমি।" ন্যাশনাল আওয়ার্ডের ঠিক আগের রাতে সাংবাদিকদের একথাই জানালেন এবছরের দাদা সাহেব ফালকে জয়ী বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।
সত্যজিতের `অপুর সংসার` থেকে সিনেমায় যাত্রা শুরু। অস্কারজয়ী এই নির্দেশকের সঙ্গে `চারুলতা`, `দেবী`, `হীরক রাজার দেশে`, `জয়বাবা ফেলুনাথের` মতো একাধিক ক্ল্যাসিক উপহার দিয়ে গেছেন তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এই মহীরুহ আঞ্চলিক ছবিতে উচ্চতার শিখরে পৌঁছলেও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার ব্যাপারে চিরকালই উদাসীন থেকেছেন। এমনকি যোগ্য ছবিকে সম্মান জানান হচ্ছে না এই অভিযোগে ১১ বছর আগে গৌতম ঘোষের `দেখার`র জন্য জাতীয় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। পরে অবশ্য `পদক্ষেপ`এ অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আঞ্চলিক চলচ্চিত্রের পক্ষে বরাবর সওয়াল করে এসেছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, আঞ্চলিক ছবির প্রতি আরও বেশি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। কারণ সাধারণ মানুষের জীবনের খুব ঘনিষ্ঠ হয় এই সব ছবি। অন্যদিকে মূলধারার হিন্দি ছবি সাধারনভাবে বিপণন কেন্দ্রিক হওয়ায় মানুষের চাহিদা মেটাতেই তৈরি হয়।
`স্টারডম`-এর ঘেরাটোপ থেকে নিজেকে বের করে আনার জন্য বারবার নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, "একথা বললে মিথ্যে বলা হবে যে আমি `স্টার` হতে চাইনি। অবশ্যই আমি `স্টারডম` উপভোগ করেছি। কিন্তু তার থেকেও অনেক বেশি একজন অভিনেতা হতে চেয়েছি আমি।"
সত্যজিৎ রায়ের পছন্দের অভিনেতা হিসেবে সবসময়েই পরিচিত সৌমিত্র। রায়ের ছবিতে বারবার ফিরে আসার পেছনে পারস্পরিক `কেমিস্ট্রি`কেই দায়ী করলেন তিনি। "আমি খুব সহজেই বুঝতে পারতাম উনি (সত্যজিৎ) আমার থেকে ঠিক কি চাইছেন। অসাধারণ `র্যাপো` ছিলও ওনার সঙ্গে। উনিই আমার মেন্টর। উনি না থাকলে আমি এখানে পৌঁছতাম না।"