'বেশি ভালোবাসলে বেশি কষ্ট পেতে হয়', Indraneil-র উদ্দেশ্যে লিখলেন Barkha!

নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক মাস আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indraneil Sengupta)  ও বরখা বিস্তের(Barkha Bisht) বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন। যদিও ইন্দ্রনীল ও বরখা দুজনেই বিয়ে ভাঙার কথা অস্বীকার করে গিয়েছিলেন। তবে আরও একবার তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জনে সরগরম বলি ও  টলিপাড়া। কারণটা বরখার নতুন ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। 

শনিবার বরখা(Barkha Bisht) নিজের ইনস্টা স্টোরিতে এক নেটিজেনের পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে লেখা, ''তুমি যত বেশি ভালোবাসবে, তত কষ্ট পেতে হবে। আর কম ভালোবাসলে কম কষ্ট পাবে। কোনটা বেছে নেবে? আমার মনে হয় এটাই এখন বাস্তবের প্রশ্ন।'' লেখাটি শেয়ার করে বরখা লিখেছেন, ''ভাবনাটা চুরি করলাম।''

বরখার (Barkha Bisht) এই নতুন ইনস্টাস্টোরিই ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠছে এই পোস্টের মাধ্যমে বরখা কি নিজেই এবার ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিলেন?

সম্প্রতি ইন্দ্রনীল বরখার ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলে দেখা যায়, বরখা বিস্ত(Barkha Bisht) ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে আনফলো করে দিয়েছেন। যদিও ইন্দ্রনীল  (Indraneil Sengupta) এখনও স্ত্রীকে ফলো করছেন এবং তাঁর ইনস্টাগ্রাম ডিপিতে এখনও স্ত্রীর সঙ্গে ছবি লাগানো রয়েছে। তবে বরখা ও ইন্দ্রনীল দুজনেই ইনস্টাগ্রাম গত দুমাস একে অপরের কোনও ছবিও পোস্ট করেননি। শোনা যাচ্ছে ইন্দ্রনীল-বরখা নাকি এখন আর এক ছাদের তলায় থাকছেনও না। বরখার সঙ্গে যে ফ্ল্যাটে অভিনেতা থাকতেন, সেখান থেকে বের হয়ে উপরের তলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছেন তিনি। বরখার সঙ্গে রয়েছেন তাঁদের মেয়ে মাইরার সঙ্গে। 

কয়েকমাস ধরেই অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের (Indraneil Sengupta)  সঙ্গে অভিনেত্রী ইশা সাহা (Ishaa Saha)র প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। 'তরুলতার ভূত' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই নাকি একে অপরের কাছাকাছি এসেছেন ইন্দ্রনীল ও ইশা। যদিও ইশা সাফ জানিয়েছিলেন, এমন গুঞ্জনে কোনও সত্যতা নেই। ইশার কথায়, এর আগেও বহুবার বিভিন্ন পরিচালক, নায়কদের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে, তাই এমন গুঞ্জনে তিনি কান দিতে নারাজ। অন্যদিকে ইন্দ্রনীল ইশার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছিলেন। । তবে বরখা বিস্তের ইনস্টা স্টোরি ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।