Jeet: ছবির শ্যুটিঙে রোবট ক্যামেরা, আকাশে উড়বে বাইক, টলিউডে নয়া নজির জিতের...
Boomerang: টলিউডে হাতে গোনা কয়েকটা কল্পবিজ্ঞানের সিনেমা। এবার সেই সিনেমায় নাম লেখাতে চলেছে জিতের ছবি ‘বুমেরাং’। এই ছবির হাত ধরেই টলিউডে নয়া প্রযুক্তি নিয়ে এলেন জিৎ। এই প্রথম বাংলা ছবিতে ব্যবহৃত হবে রোবট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা। ছবির জন্য তৈরি করা হল ফিউচারিস্টিক বাইক।
Jeet, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তুমুল গতিতে ছুটছে বাইক, প্রয়োজনে উড়ছে আকাশেও, এই দৃশ্যের কথা ভাবলেই এক নিমেষে যেকোনও সিনেপ্রেমীর মাথায় আসে একটি সিনেমার নাম, তা হল বলিউডের ধুম(Dhoom) ফ্র্যাঞ্চাইজি। ধুমের সেই বাইক ঝড় এবার টলিউডে। বরাবরই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী টলিউডের সুপারস্টার জিৎ। কল্পবিজ্ঞানের গল্প নিয়ে তাঁর আগামী ছবি ‘বুমেরাং’(Boomerang)। ছবিতে তাঁর সঙ্গে জুটিতে দেখা যাবে রুক্মিনী মৈত্রকে(Rukmini Maitra)। ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী প্রমুখ। সেই ছবির জন্য তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা বাইক, ফিউচারিস্টিক(Futuristic Bike) সেই বাইকে হবে শ্যুটিং এমনকী স্টান্টও।
শুধু বাইকই নয়, এই ছবিতে প্রথমবার ব্যবহার করা হবে সিনেবট(Cinebot) ক্যামেরা। কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই ক্যামেরায় বিভিন্ন অ্যাকশন দৃশ্য এবং জটিল শট নির্ভুলভাবে শুট করতে পারবেন ডিওপি। এই ক্যামেরার গতিও তীব্র। এই ক্যামেরায় শ্যুট হওয়ায় দর্শকের অনেক কাছে পৌঁছে যাবে চরিত্ররা অর্থাৎ ক্লোজ শট নিতে সুবিধে হবে। ধুমের পাশাপাশি দক্ষিণী ছবিতেও এই ক্যামেরার ব্যবহার করা হয়। এই প্রথম বাংলায় ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি।
জিৎ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা গতির যুগ। দর্শকদের জন্য সমবসময়েই আমার নতুন কিছু নিয়ে আসতে ভালো লাগে। আমি খুশি যে এবারেও আমরা সেটা করতে পারছি। আপনাদের সামনে ইউনিক ফিউচারিস্টিক বাইক নিয়ে আসছি যেটা পুরোটাই শুধুমাত্র ছবির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সিনেবট ক্যামেরা। যা প্রথমবার ব্যবহার করা হচ্ছে টলিউডে। স্পেশাল সিনেম্যাটিক কিছু দৃশ্য তৈরির জন্যই এই ক্যামেরার ব্যবহার, যা দিয়ে শ্যুট করতে আমরা বেশ উপভোগ করছি। আমি নিশ্চিত যে এই সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা দর্শকদেরও ভালো লাগবে’।
রুক্মিনী বলেন, ‘বাংলা ছবিতে এই প্রথমবার দর্শক সুপারবাইকের দৃশ্য দেখতে পাবে। এই প্রথম সিনেমার সেটে এরকম একটা ‘কুল’ জিনিস আমি দেখলাম। তবে এটা চোখে দেখার থেকেও এর ফলাফল আরও বড়। বুমেরাং রিলিজ করলে দর্শকরা তার টের পাবে।’
সিনেমবোটের ব্যবহার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে পরিচালক সৌভিক কুন্ডু বলেন, “সিনেবোট ইতোমধ্যেই বহুকাল ধরে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে কিন্তু এর আগে এটি কোনো বাংলা ছবিতে ব্যবহার করা হয়নি। এই প্রথম আমরা এটি ব্যবহার করছি। অন্যান্য ফিল্ম ইকুইপমেন্টে এই শ্যুট করা কঠিন ছিল, কিছু প্রযুক্তিগত কারণেই এর ব্যবহার করা হবে। যেহেতু ফিল্মটি একটি সাই-ফাই ঘরানার, তাই অনেকগুলি চরিত্র, অ্যাকশনএবং কোরিওগ্রাফি সহ অনেকগুলি কঠিন দৃশ্য ছিল এবং এখানেই সিনেবট কাজে এসেছে। আমরা ফোকাল লেন্থ নির্ধারণের মাধ্যমে ক্যামেরার দিকনির্দেশও প্রোগ্রাম করতে পারি। অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ আমরা এটি প্রথমবার ব্যবহার করেছি কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই আধুনিক সরঞ্জাম আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। প্রথমবার আমরা একটি ফিউচারিস্টিক বাইক ডিজাইন করেছি যা দর্শক আগে কখনও দেখেননি এবং আমি বিশ্বাস করি এটি বিশেষ করে দর্শকদের আকৃষ্ট করবে’’।
আরও পড়ুন- Madan Mitra: ‘নেতারা আসলে সবাই খুব বড় মাপের অভিনেতা’, ওহ লাভলি!
এই ছবির ফাইট মাস্টার রবি বর্মা বলেন, “আমি এর আগেও জিতের সঙ্গে কাজ করেছি কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতাটা একটু ভিন্ন কারণ আমরা এখানে সিনেবট ব্যবহার করছি এবং তাও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথমবারের মতো। যেহেতু এটি একটি রোবোটিক ক্যামেরা ডিভাইস, তাই সবকিছু একটি টাইমলাইনে কাজ করে। এবং এই সেই টাইমলাইনে আমাদের প্রতিটি শট সিঙ্ক্রোনাইজ করতে হবে যা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এছাড়াও আমার ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে, আমি প্রচুর রোবো সিনেমা করেছি কিন্তু ভারতীয় সিনেমায় প্রথমবারের মতো আমি একটি ফিউচারিস্টিক উড়ন্ত সুপারবাইক নিয়ে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে এই বাইকটিতে যে শটগুলি করেছি তা সত্যিই ভাল কাজ করেছে তবে বাইকটি নিয়ে শ্যুট করা সমান চ্যালেঞ্জিং ছিল।”