নিজস্ব প্রতিবেদন: সচরচর বি-টাউনের বেশিরভাগ তারকার সঙ্গেই বিশেষ বনিবনা হয় না কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের। হৃত্বিক থেকে আলিয়া, রণবীর, প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় তারকাদের আক্রমণ করে টুইট করতে দেখা যায় রঙ্গোলিকে। বি-টাউনে সকলের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় না রাখতে পারার জন্য কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলির যে বেশ বদনাম রয়েছে তা আর নতুন করে না বললেও চলে। তবে দীপিকা পাড়ুকোনের ক্ষেত্রে তেমনটা করলেন না রঙ্গোলি চান্দেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে এসেছে মেঘনা গুলজার পরিচালিত দীপিকার নতুন ছবি 'ছপক'। যে ছবিতে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনের ঘটনা ও লড়াইয়ের কথাই উঠে আসতে চলেছে। এদিন ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই দীপিকা ও মেঘনা গুলজারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রঙ্গোলি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ট্রেলারটি শেয়ার করতে দেখা গেছে তাঁকে। যার ক্যাপশানে দীপিকা ও মেঘনার প্রশংসা করেছেন কঙ্গনার দিদি।


আরও পড়ুন-'জার্সি' দেখে ৪ বার কেঁদেছেন, স্বীকার করে নিলেন শাহিদ, কী এমন রয়েছে 'জার্সি' তে?




আরও পড়ুন-'ছপক'-এর ট্রেলার লঞ্চে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন দীপিকা


এর আগেও যখন দীপিকার 'ছপক' লুক প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল, তখন দিপ্পির প্রশংসা করে টুইট করেছিলেন রঙ্গোলি। প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়ত জানেন না, রঙ্গোলি নিজেও একজন অ্যাসিড আক্রান্ত। যতদূর জানা যায়, রঙ্গোলি হিমাচল প্রদেশের প্রথম অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলা। ২০০৬ সালে দেরাদুনে রঙ্গোলির উপর অ্যাসিড হামলা হয়। চণ্ডীগড়ের দুই যুবক কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলির উপর অ্যাসিড হামলা চালান বলে জানা যায়। সেই হামলায় রঙ্গোলির মুখের অনেকাংশ পুড়ে যায় এবং একটি চোখের ৯০ শতাংশ দৃষ্টি শক্তি চলে যায়। একটা কান নষ্ট হয়ে যায়। পরে ৫৭টি অস্ত্রপচারের মাধ্যমে অনেকটা স্বাভাবিক চেহারা ফিরে পান রঙ্গোলি। তবে রঙ্গোলির কথায়, অ্যাসিড আক্রান্ত হওয়ার পর সেই ভয়ানক যন্ত্রণা কখনওই ভোলার নয়। শরীরের থেকেও মনেক কষ্ট ছিল আরও ভয়ানক।


তবে অবশ্য শুধুই রঙ্গোলি নয়, ওই দিন সেই অ্যাসিড হামলায় জখম হন রঙ্গোলির আরও এক বন্ধু বিজয়া। যদিও বিজয়ার ক্ষতর পরিবার রঙ্গোলির থেকে অনেকটাই কম ছিল বলে জানা যায়। রঙ্গোলির উপর যে যুবক অ্যাসিড হামলা চালিয়েছিল সে অবিনাশ বলে সেই যুবককে গ্রেফতারও করা যায়। সেই যুবক রঙ্গোলিকে পাঁচ বছর ধরে চিনত বলেও জানা যায়। রঙ্গোলির উপর এই অ্যাসিড হামলা হয় ২০০৬ সালে। তাই অ্যাসিড আক্রান্তের কষ্ট কতখানি তা হয়ত রঙ্গোলির থেকে ভালো আর কেউ অনুভব করতে পারবেন না।


আরও পড়ুন-অ্যসিড হামলার পর নিজেকে দেখে আঁতকে উঠল মালতী, ছপকের ট্রেলারে অ্যাসিড হামলার নৃশংসতা দেখলে আপনিও আঁতকে উঠবেন.. 


এর আগে এক সাক্ষাৎকারে দিদি রঙ্গোলির জীবনের এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা নিয়ে ছবি বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। কঙ্গনার কথায়, '' আমি ওকে (রঙ্গোলিকে) বলেছিলাম, আমি তোমার জীবনের এই ঘটনা নিয়ে ছবি বানাতে চাই। আমি এই অধিকারটা চেয়েছিলাম। আমি নিজেই ওর (রঙ্গোলির) চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। তবে রঙ্গোলি বলেছিল এটা নাকি ফ্লপ ছবি হবে। ''