নিজস্ব প্রতিবেদন: সঙ্গীতমেলায় শিল্পীদের অনুষ্ঠান পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি নেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen)। সম্প্রতি এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পীদের অনেকেই লিখেছেন ''এ শুধু মন্ত্রীকে অপমান নয়, সমগ্র সঙ্গীত জগতের অপমান।'' এবার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস চত্বরে শুভেন্দুর মন্তব্যের বিরুদ্ধে জমায়েত করলেন বাংলার শিল্পীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস চত্বরে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গেল শিল্পীদের। ছিলেন হৈমন্তী শুক্লা, মনোময় ভট্টাচার্য, ইন্দ্রাণী সেন, অরুন্ধতী হোমচৌধুরী, শিবাজী চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেক খ্যাতনামা শিল্পী। ইন্দ্রাণী সেন বলেন, ''যদি কেউ সঙ্গীতমেলায় সুযোগ না পেয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় পাবেন, একসঙ্গে সকলকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব না। আমরাও ছোট থেকে ধীরে ধীরে এই জায়গায় পৌঁছেছি।'' শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন অরুন্ধতী হোমচৌধুরী। পর্ণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলেন, ''আপনি প্রকাশ্য়ে ক্ষমা চান, কোন কোন শিল্পী আপনার কাছে এমন অভিযোগ করেছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করুন।''


আরও পড়ুন-কাটমানি খান Indranil Sen, Shuvendu Adhikari-র অভিযোগের নিন্দা শিল্পীদের



এর আগে Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে রাঘব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন, তা সর্বৈব মিথ্য়া। সমস্ত শিল্পীরাও এই কথাটাই বলেছেন। আমি একজন অরাজনৈতিক মানুষ। ইন্দ্রনীলদা আমাদের দাদার মতো। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সমর্থন করি না।'' ফোনে মনোময় ভট্টাচার্য বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারীর এমন মন্তব্যে ধিক্কার জানাচ্ছি। ইন্দ্রনীলদাকে অনেকদিন ধরে দেখছি, আমার মনে হয় না ওঁর কাটমানি নেওয়ার দরকার আছে। এমন মন্তব্য শিল্পীদের অপমান।'' শিবাজী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''শিল্পীদের উনি কী মনে করেন, শিল্পীদের নিয়ে এমন কুৎসিত মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।''


আরও পড়ুন-Mamata Banerjee-ই অনুপ্রেরণা, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন Piya, Koushani



আরও পড়ুন-BJP-তে যোগ দেওয়ার জল্পনা উসকে PM Narendra Modi-র সঙ্গে সেলফি Rudranil-র 


শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে সঙ্গীতমেলায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিলু ভট্টাচার্য।  ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানান, ''২০১৬ সালের পর থেকে সঙ্গীত মেলার মূল জায়গা রবীন্দ্রসদন থেকে সরিয়ে আমাকে মধুসূদন মঞ্চের অনুষ্ঠানে দেওয়া হয়। যেখানে প্রায় দর্শকই হত না। শুধু আমাকেই নয় আমার স্বামী দেবজিৎ সহ আরও কিছু শিল্পীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৮তে আমি এর প্রতিবাদও জানিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, বহু শিল্পীদের সঙ্গীতমেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেওয়া হলেও আমাদের দেওয়া হয়নি।'' সঙ্গীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্য বলেন, ''২০১৬ সালে সঙ্গীত মেলায় নতুন শিল্পীরা সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল, প্রতিবাদে আমি সঙ্গীতমেলা ছেড়ে বেরিয় গিয়েছিলাম।''