গ্লাসগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে `কিয়া অ্যান্ড কসমস`
রণিতা গোস্বামী
রণিতা গোস্বামী
বাংলা ছবি 'কিয়া অ্যান্ড কসমস'-এর ঝুলিতে এল এবার আরও একটি সাফল্য। কান আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বার্সেলোনা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পর এবার গ্লাসগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রদর্শিত হতে চলেছে 'কিয়া অ্যান্ড কসমস' ছবিটি। আগামী ২১ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিচালক সুদীপ্ত রায়ের এই ছবিটি সেখানে দেখানো হবে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, গ্লাসগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯-এ এবার ভারত থেকে তিনটি ছবি প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভাসান বালা পরিচালিত 'মরদ কো দরদ নেহি হোতা' ( মুখ্য ভূমিকায় অভিমন্যু দাসানি ও রাধিকা মদন) ও দেবাশীষ মাখিজার ছবি 'ভোঁসলে', যেখানে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মনোজ বাজপেয়ীকে। এছাড়াও সুদীপ্ত রায় পরিচালিত বাংলা ছবি 'কিয়া অ্যান্ড কসমস'কে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভাসান বালার 'মরদ কো দরদ নেহি হোতা' ছবিটি ফিউচার কাল্ট সেকশন, ভোঁসলে ছবিটি উইন্ডো অন ওয়ার্ল্ড সেকশন এবং কিয়া অ্যান্ড কসমস ছবিটি পায়োনিয়র সেকশনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-'নগরকীর্তন'-এ অভিনয় করছেন বৃহন্নলারা, কীভাবে হয়েছে শ্যুটিং? দেখে নিন
১২ দিন ধরে চলা গ্লাসগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯-এ মোট ৭টি ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, কান আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চেই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল সুদীপ্ত রায় পরিচালিত বাংলা ছবি 'কিয়া অ্যান্ড কসমস'-এর টিজার। ২০১৮-র গত ১১ মে কান প্যালাইস দি ফেস্টিভ্যালের 'প্যালাইস বি হল'এ ছবিটি প্রথমবার প্রদর্শিত হয়। সেখান থেকেই সাফল্যের যাত্রা শুরু 'কিয়া অ্যান্ড কসমস' ছবিটির। তারপর বার্সেলোনা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রদর্শিত হয় ছবিটি। এছাড়াও মিলান আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও ছবিটি চারটি বিভাগে মনোনিত হয়। যার মধ্যে ছিল (বিদেশি ভাষার ছবির বিভাগে) সেরা সাউন্ড ডিজাইন, এডিটিং,পরিচালনা ও সিনেমাটোগ্রাফি। বার্সেলোনা, মিলান-এর পাশাপাশি ইরান, জাপান, চিন সহ বিভিন্ন দেশের ফেস্টিভ্যালেও ইতিমধ্যেই ছবিটি দেখানো হয়েছে। আর এবার ছবিটি প্রদর্শিত হতে চলেছে গ্লাসগো ফিল্ম ফেস্টিভ্য়ালে। যদিও এদেশে এখনও ছবিটি মুক্তি পায়নি। তবে এবছরই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন-'রক্ত রহস্য'-তে কোয়েলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানালেন সৌকর্য ঘোষাল
১২ বছরের এক কিশোরী 'কিয়া' কে নিয়েই গড়ে উঠেছে এই ছবির প্রেক্ষাপট। কিয়া (ঋত্বিকা পাল) আর পাঁচজনের মতো সুস্থ-স্বাভাবিক নয়। সে 'পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার'-এ আক্রান্ত। যে রোগের কারণে তার বয়স ১৫ বছর হলেও তাঁর মানসিক বিকাশ ওই বয়সের কিশোরীদের মতো নয়। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী কিয়াকে তার মা জানিয়েছে, তার বাবা মারা গেছে। যদিও সত্যটা হল, তিনবছর আগে তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায় কালিম্পং-এ। এসবের মাঝে ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা। কিয়ার পাশের বাড়ির বিড়াল 'কসমস' খুন হয়। ছোট্ট কিয়া তার মতো করেই 'কসমস' মৃত্যু রহস্যের তদন্ত শুরু করে। আর এনিয়েই কিশোরী কিয়া নিজের বিভিন্ন চিন্তাভাবনা কিয়া তার ডায়েরিতে গোয়েন্দা উপন্যাসের আকারে লিখতে শুরু করে। মেয়ের কাণ্ডকারখানা জানতে পেরে তার ডায়েরি লুকিয়ে রাখে তার মা দিয়া (স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়)।
এসব ঘটনার মাঝে কিয়া জানতে তার বাবা বেঁচে আছে জানতে পেরে বাবাকে খুঁজতে সে একাই কলকাতা থেকে কালিম্পং-এ যাত্রা করে। যদিও এই গল্পের মাঝে রয়েছে অনেক রহস্য-রোমাঞ্চ। তবে সেগুলি জানতে হলে সিনেমাটির মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন-বৌভাতের পরদিন পাতে পড়েছিল মাছের সবচেয়ে ছোট্ট পিসটাই, সরব কনীনিকা