মাধুরী, জুহি আর গুলাব গ্যাং

আশির দশকের শেষ থেকে গোটা নব্বইয়ের দশক। বি টাউনের এক নম্বর নায়িকা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে শুধু দুটো নাম। মাধুরী আর জুহি। সমক্ষে বিবাদ না থাকলেও দুই সুন্দরীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে খুব মধুর ছিল সে `অপবাদ` ভুল করেও কেউ দিতে পারবে না কখনও।

Updated By: Nov 20, 2012, 05:41 PM IST

আশির দশকের শেষ থেকে গোটা নব্বইয়ের দশক। বি টাউনের এক নম্বর নায়িকা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে শুধু দুটো নাম। মাধুরী আর জুহি। সমক্ষে বিবাদ না থাকলেও দুই সুন্দরীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে খুব মধুর ছিল সে `অপবাদ` ভুল করেও কেউ দিতে পারবে না কখনও। বেশ কয়েকজন পরিচালক বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও এই দুই নায়িকাকে সিনেমায় এক সঙ্গে `পর্দা` ভাগাভাগিতে রাজি করাতে পারেননি। দুজনের ফ্যানক্লাবের মধ্যেও ছিল তীব্র রেষারেষি। সেই দূরত্বই ঘুচিয়ে দিলেন এই প্রজন্মের পরিচালক অনুভব সিনহা। তাঁর আগামী ছবি `গুলাব গ্যাং`-এ প্রথমবারের জন্য রুপোলি পর্দায় দেখা যাবে দুজনকে।
মাধুরী যে `গুলাব গ্যাং` দিয়েই নিজের তৃতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন সে খবর আগেই ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গুলাব ক্যাম্পে জুহির আগমন একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু মাধুরীকে কন্ট্রাক্টে সই করানোর এতোদিন পর কেন জুহি সিনে এলেন? অনুভবের যুক্তি, "গুলাব গ্যাং ছবিতে দুজন আইকনিক মহিলার চরিত্র রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির দুজন আইকনিক অভিনেত্রীকে আমার দরকার ছিল। মাধুরী আর জুহি প্রথম আমার ছবিতেই একসঙ্গে অভিনয় করবেন। গুলাব গ্যাং অ্যাকশন ড্রামা এবং দুই নারী এখানে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি চেয়েছিলাম এরকম দুজন অভিনেত্রীকে নিয়ে কাজ করতে যাঁরা দুজনেই সমান শক্তিশালী"। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে গুলাব গ্যাং বানাচ্ছেন অনুভব।
উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলাখণ্ডে মহিলাদের অধিকারের জন্য লড়াই করে `গুলাব গ্যাং`। মাধুরী, জুহি ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন মাহি গিল, শিল্পা শুক্লা। `গুলাব গ্যাং`-এর নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন সম্পত পল। সম্প্রতি বিগ বস সিক্স-এ দেখা গেছে সম্পতকে।
তবে অনুভব যাই ভেবেই মাধুরী-জুহিকে এক ছবিতে নিয়ে আসুননা কেন উনি যে সত্যিই অসাধ্য সাধন করেছেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাঁর সৌজন্যেই এই দুই ডিভাকে এক পর্দায় দেখতে পাবে দর্শক। কিছুদিন আগেই এক মঞ্চে প্রথমবারের জন্য একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মাধুরী ও শ্রীদেবীকে। আর এবার একসঙ্গে এক পর্দায় মাধুরী-জুহি। যৌবনে যাঁরাই ছিলেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী, এক পর্দা ভাগ করে নেওয়া ছিল অসম্মানের, এক চিলতে জমি ছাড়তেও ছিলেন নারাজ, ৪০ পেরোতেই একে অপরের সঙ্গে রুপোলি পর্দায় আসা তাঁদের কাছেই `গ্রেট প্লেজার`। একেই কি বলে বয়সোচিত পরিণত মনস্কের ও মস্তিষ্কের পরিচয়? আমাদের খানেরা (সকলেই ৫০ ছুঁই ছুঁই) কবে শিখবেন এই সহিষ্ণুতা? আশা করা যায় তাঁরাও পারবেন। আফটার অল কথায় আছে মহিলাদের ম্যাচিওরিটি পুরুষদের অনেক আগে আসে!

.