নিজস্ব প্রতিবেদন: বি-টাউনে আরবাজ-মালাইকার বিচ্ছেদ নিয়ে কিছু কম আলোচনা হয়নি। পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে মালাইকা-অর্জুন কাপুরের প্রেমও। মালাইকা-আরবাজের ১৮ বছরের দীর্ঘ বিবাহিত জীবন ভেঙে যাওয়ায় হতবাক হয়েছিলেন অনেক ভক্তই। সম্প্রতি, আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মালাইকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি, একটি করিনা কাপুরের জনপ্রিয় অনলাইন রেডিও শো 'হোয়াটস ওম্যান ওয়ান্ট'-এ হাজির হয়েছিলেন মালাইকা। সেখানেই তিনি তাঁর বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন। মালাইকা বলেন, ''তিনি যখন প্রথবার বিচ্ছেদের বিষয়টি তাঁর বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সকলেই অবাক হয়ে বিষয়টি নিয়ে তাঁকে আরও একবার ভেবে দেখতে বলেছিলেন। সবাই প্রথমে এটাই বলেছিলেন, যে এই সিদ্ধান্ত নিও না। কেউই আপনাকে বলবে না, হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিক আছে যাও। এটাই সকলের প্রথম কথা, যে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিও। এমনকী বিচ্ছেদের আবেদন করতে যাওয়ার আগের দিন রাতে এসেও আমার পরিবারের সদস্যরা, বলেছিলেন, আরও একবার ভেবে দেখো। তুমি কি তোমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত? আর এটাই স্বাভাবিক, যে সমস্ত মানুষ আমাকে ভালোবাসবে, আমাকে নিয়ে চিন্তা করবে তারা এমনটাই বলবে।''


আরও পড়ুন-শাহরুখের বিরুদ্ধে পাকিস্তানীদের সাহায্যের ভুয়ো খবরে ক্ষুব্ধ ভক্তরা


মালাইকা আরও জানান, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তিনি একা নেননি, আরবাজ ও তিনি দুজনে মিলেই নিয়েছেন। কারণ তাঁর কথায় তাঁরা দুজনে একসঙ্গে খারাপ থাকলে তার প্রভাব চারপাশের মানুষগুলোর মধ্যেও পড়ে, তার থেকে এটাই ভালো।



আরও পড়ুন-সৈনিকদের মৃত্যু তুচ্ছ, ফেসবুকে মন্তব্য করে সমালোচনায় মল্লিকা দুয়া


এদিন মালাইকার বলেন, ''আমার মনে হয়, কেউ যদি অসুখী বিবাহিত জীবন-যাপন করে, আর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমায় মনে হয় মনকে শক্ত করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই আত্ম সম্মান রয়েছে।''


এর পরই করিনা মালাইকাকে জিজ্ঞাসা করেন, বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, পার্টিতে তোমাকে এবিষয়ে কিছু শুনতে হয়নি। বা কেউ কোনও প্রশ্ন করেনি? এর জবাবে মালাইকা বলেন, ''না, এধরনের কিছু হয়নি। আর যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, তাহলে আমি তাঁদের পাত্তাও দিই না, কারণ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাইরের কারোর প্রশ্ন করার কোনও অধিকার নেই।''



আরও পড়ুন-শহিদ জওয়ানদের পরিবারের জন্য অর্থ সাহায্য করলেন সলমন


করিনা মালাইকাকো পাল্টা প্রশ্ম করেন, তোমার ক্ষেত্রে না হয় আলাদা, কিন্তু একজন সাধারণ মহিলার ক্ষেত্রে, তাঁকে তো অনেক কথা শুনতে হয়ই? মালাইকার জবাব, ''যে যাই বলুক, সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় মেয়েদেরই, পুরুষদের নয়। তাই সে যখন সমস্যার মুখে পড়ে, কেউ পাশে থাকে না। তাই প্রত্যেক মহিলারই কে কী ভাববে, বা বলবে এটা নিয়ে মাথা ঘামানো উচিতই নয়। আর একজন বিবাহ-বিচ্ছিন্ন মহিলা যেধরনের কথা শোনে, পুরুষরা কিন্তু তা শোনে না। ''


এদিনে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদে সন্তানের উপর প্রভাবের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মালাইকার, তাঁর কথায়, সন্তানের সামনে বাবা-মায়ের একসঙ্গে খারাপ থাকায়, ঝাগড়া অশান্তিতে আরও বেশি খারাপ প্রভাব পড়ে, এর থেকে আলাদা থাকাই ভালো। 


আরও পড়ুন-বৌমার রান্না করা খাবার খেতে অস্বীকার করলেন কনীনিকার শাশুড়ি মা?