এশিয়া সুন্দরী সৃষ্টির হীরের মুকুট আসলে কাঁচের তৈরি! চেকিংয়ের সময় ধরা পডে গেল আসলে কাঁচের মুকুট

কথায় বলে রাজার মুকুট আসলে কাঁটার, দূর থেকে ওই রকম দেখায়। আর সুন্দরীর মুকুট! মিস এশিয়া প্যাসিফিক সৃষ্টি রানার মুকুট আসলে নকল! আজই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সৌন্দ্যর্য প্রতিযোগিতা মিস এশিয়া প্যাসিফিক ওয়ার্ল্ড ২০১৩-খেতাব জিতে দেশে ফেরেন সৃষ্টি রানা। কিন্তু মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে সৃষ্টি নামতেই একটা `সৃষ্টি ছাড়া` খবর হল।

Updated By: Nov 7, 2013, 06:38 PM IST

কথায় বলে রাজার মুকুট আসলে কাঁটার, দূর থেকে ওই রকম দেখায়। আর সুন্দরীর মুকুট! মিস এশিয়া প্যাসিফিক সৃষ্টি রানার মুকুট আসলে নকল! আজই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সৌন্দ্যর্য প্রতিযোগিতা মিস এশিয়া প্যাসিফিক ওয়ার্ল্ড ২০১৩-খেতাব জিতে দেশে ফেরেন সৃষ্টি রানা। কিন্তু মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে সৃষ্টি নামতেই একটা `সৃষ্টি ছাড়া` খবর হল।
ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে সৃষ্টি পা দিতেই শুল্ক দফতরের কর্মীরা তাঁকে আটক করে। কারণ ভারতীয় আইন অনুযায়ী কোনও রত্নখচিত মুকুট শুল্ক ও অনুমতি ছাড়া বিদেশ থেকে দেশে আনা যায় না। সৃষ্টির জেতা মিস প্যাসিফিক মুকুটে হীরের তৈরি এমনই লেখা আছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী শুল্ক মেটানোর পর অনুমতি নিয়ে তবেই তিনি বিমানবন্দর ছাড়তে পারতেন। এরপর সৃষ্টি তাঁর মিস এশিয়া প্যাসিফিকের মুকুটটি বের করেন। কিন্তু এরপরই সবাইকে অবাক হয়ে যান। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেই মুকুটটি আসলে কাঁচ আর সস্তা ধাতুর তৈরি। তাই আর কী! শুল্ক দফতরের কর্মীরা হাসিমুখে সৃষ্টিকে বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি দেন। সৃষ্টি ভুবনভোলানো হাসি হেসে বিমানবন্দর ছাড়েন।

গত মাসে মিস এশিয়া প্যাসিফিক ওয়ার্ল্ড ২০১৩ -এর সেরা সুন্দরীর শিরোপা জিতেন সৃষ্টি রানা। ২১ বছরের এই রাজপুত তরুণী ছিলেন মিস ইন্ডিয়া ২০১৩ প্রতিযোগিতার রানার আপ। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন তিন মহাদেশের ৪৯ টি দেশের বাছাই করা সুন্দরী প্রতিযোগীদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুটটি ছিনিয়ে নিলেন ভারত সুন্দরী সৃষ্টি।
গত বছরই এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ভারতেরই হিমাঙ্গিনী সিংহ ইয়াদু। সেই হিমাঙ্গিনীই এবার সৃষ্টির মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন। সৃষ্টি ময়ূরের পেখম দিয়ে তৈরি ও ময়ূরকণ্ঠী রঙের বিশেষ কস্টিউম পরে মঞ্চে হাজির ছিলেন। ভারতের জাতীয় পাখির মাহাত্ম্য তুলে ধরতে ও জাতীয় পাখির সংরক্ষণের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই কস্টিউম পরেছিলেন তিনি। এজন্য বিশ্বের বাকি প্রতিযোগীদের হারিয়ে বেস্ট ন্যাশনাল কস্টিউমের পুরস্কারটাও ছিনিয়ে নিয়ে ছিলেন তিনি। সৃষ্টি ও হিমাঙ্গিনীর আগে দুই বলিউড সুন্দরী দিয়া মির্জা ও জিনাত আমন ২০০০ ও ১৯৭০ সালে এই শিরোপা পেয়েছিলেন।

.