Mukesh Khanna on Adipurush: ‘হনুমানজী আদিপুরুষ দেখলে পাহাড় ছুড়ে মারত নির্মাতাদের’, চটে লাল মুকেশ খান্না...
Adipurush Row: নির্মাতাদের বিরুদ্ধে রামায়ণকে অপমান করার অভিযোগ তোলেন অভিনেতা মুকেশ খান্না। এমনকী রাম, রাবণ ও হনুমানের চরিত্র চিত্রায়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ছোট বাচ্চারাও নির্মাতাদের থেকে বেশি জানে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রচুর প্রত্যাশা এবং আসাধারণ মার্কেটিংয়ের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ওম রাউতের(Om Raut) রামায়ণ নির্ভর পৌরাণিক ছবি ‘আদিপুরুষ’(Adipurush) মুক্তির পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া, ফিল্ম ক্রিটিক থেকে সাধারণ দর্শকের সমালোচনায় জেরবার। প্রাথমিকভাবে এই ছবির ভিজ্যুয়াল এফেক্ট এবং সংলাপের কারণেই তুমুল ট্রোলড হচ্ছে এই ছবি। যদিও চলচ্চিত্রের নির্মাতারা প্রথম থেকেই দাবি করেছেন যে পাঠানের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে এই ছবি, তবে এখনও পর্যন্ত মিশ্র-থেকে-নেতিবাচক সমালোচনা দেখে কার্যত মন ভেঙেছে গোটা টিমের। সমালোচনা ও কটাক্ষের মুখে এই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন শক্তিমান খ্যাত অভিনেতা মুকেশ খান্না(Mukesh Khanna)।
নির্মাতাদের বিরুদ্ধে রামায়ণকে অপমান করার অভিযোগ তোলেন অভিনেতা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আদিপুরুষের থেকে রামায়ণকে বেশি অপমান আর কেউ করেনি। ওম রাউত রামায়ণ সম্পর্কে কিচ্ছু জানে না। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বুদ্ধিজীবী লেখক মনোজ মুন্তাসীর যে রামায়ণকে কলিযুগে ফেলে দিয়েছে। ওঁর লেখা বোধবুদ্ধিহীন সংলাপ, জঘন্য চিত্রনাট্য দেখে লোকের আর ঘুমের ওষুধের দরকার পড়বে না। কোন ধরনের রামায়ণের সঙ্গেই এই ছবির যোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেঘনাদকে দেখে মনে হচ্ছে নিম্নমানের WWE রেস্টলার আর মুখে রাস্তার ছেলের মতো সংলাপ। মেঘনাদ বলছে, ‘বেটা তেরা জালি’। এরকম শব্দ রামায়ণে কীভাবে থাকতে পারে! এটা কি কোনও ‘টাপোরি’ চরিত্র? আর আমার মনে হয় না, রাবণ কোনও ভয়ানক চরিত্র ছিল? রাবণ তো পন্ডিত ছিল। যদি কেউ মনে করে রাবণ ভয়ংকর ছিল তাহলে সেভাবেই দেখাক কিন্তু এখানে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা একদমই ঠিক নয়। যদি আপনি সিনেম্যাটিক স্বাধীনতা চাও, তাহলে তুমি গল্প নির্ভর ছবি বানাও। কিন্তু আপনি ভগবানকে নিয়ে এরকম ছবি বানাতে পারো না। এটা ভয়ানক ইয়ার্কি হয়ে গেছে।’
প্রভাসকে ভালো অভিনেতা ও ভালো মানুষ বলে উল্লেখ করেছেন মুকেশ খান্না। অভিনেতা বলেন, ‘এটা আলাদাই একটা ছবি হয়ে গেছে। রামকে দর্শকের মনে জায়গা পেতে হলে সেরকমভাবে তাঁকে উপস্থাপিত করতে হবে। কেউ শুধু শরীর দেখালেই ভালো রাম হয়ে উঠতে পারে না। যদি আপনারা অনুপ্রেরণা নিতে চান, তাহলে অরুণ গোভিলকে দেখুন। আপনাদের কোনও অধিকার নেই যে আপনার আমাদের মহাকাব্যের ইমেজ বদলে দেবেন। রাবণকে কমেডি বানিয়ে দিয়েছে। তিনি মোটেও কোনও কমিক চরিত্র ছিল না। এই ছবিতে তাঁকে সস্তা স্মাগলার লাগছে। কোনও ছোট বাচ্চাও আদিপুরুষের নির্মাতাদের থেকে বেশি রামায়ণ জানে। তাই যাঁরা এই ছবি দেখবেন বলে ভাবছেন তাহলে আপনাদের ব্রেন বাড়িতে রেখে আসার অনুরোধ’।
অভিনেতা আরও বলেন, ‘যদি হনুমানজী পর্দায় নিজেকে ঐ গেটআপে দেখে তাহলে গন্ধমাদন পাহাড়টা তুলে নির্মাতাদের ছুঁড়ে মারবে। অনেকেই বলছে সেন্সর বোর্ড তো এটা পাস করেছে। তাহলে আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে বলব, সেন্সর বোর্ড সুপ্রিম কোর্ট নয়। ওরা যদি আমাদের মূল্যবোধ ভুলে যায় তাহলে আমাদেরই ওদের শেখাতে হবে। কিন্তু তাও আমি অবাক যে, বোর্ড কী করে এই ছবিকে ছাড়পত্র দিল? আমি এটাও বুঝতে পারি না যে কী করে এই ছবির জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ হল।’