Pinaki Chaudhuri Passes Away: দীপাবলিতে দুঃসংবাদ! প্রয়াত জাতীয় পুরস্কারজয়ী ছবির পরিচালক পিনাকী চৌধুরী
Pinaki Chaudhuri Passes Away: রবিবার বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়ছিল পরিচালককে। বাড়ি ফিরেই ভোর-রাত ৩.১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। লেক গার্ডেনসে তাঁর বাড়িতেই শায়িত রাখা থাকবে মৃতদেহ। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার লন্ডন থেকে তাঁর ছেলে ফিরলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
Pinaki Chaudhuri Passes Away, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান পরিচালক পিনাকী চৌধুরী। সোমবার ভোররাতে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বিগত একমাস ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় পরিচালককে। ভোররাত ৩.১৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন পিনাকী চৌধুরী। সোমবার সারাদিন বাড়িতেই শায়িত থাকবে তাঁর মৃতদেহ। মঙ্গলবার তাঁর ছেলে লন্ডন থেকে ফিরলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
বিগত একমাস ধরেই ভুগছিলেন বালিগঞ্জ কোর্ট ছবির পরিচালক পিনাকী চৌধুরী। সলিড কোনও খাবার খেতে পারছিলেন না তিনি, লিক্যুইড ডায়েটই চলছিল তাঁর। ২০১৭ সালে একটি লিম্ফোমা হয়েছিল, সেটা সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু গত ২০ তারিখ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর নানা ধরনের পরীক্ষা হয়। তারপরেই চিকিৎসক জানান যে, ঐ লিম্ফোপাই পুনরায় তাঁর শরীরে ফিরে এসেছে। অ্যান্টিবায়োটিক চলছিল কিন্তু শরীরের কোনও উন্নতির বদলে কেবলই অবনতি হচ্ছিল। চিকিৎসকই ওঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা বলেন। এরপরেই রবিবার বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়ি ফিরেই রাত ৩.১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। লেক গার্ডেনসে তাঁর বাড়িতেই শায়িত আছে মৃতদেহ। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার লন্ডন থেকে তাঁর ছেলে ফিরলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানান তাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন-Anushka Sharma on Virat Kohli: চোখে জল বিরাটের, আত্মহারা নাচ অনুষ্কার
তবলা বাদক হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন পিনাকী চৌধুরী। উস্তাদ কেরমাতুল্লাহ ও পন্ডিত রবি শংকরের কাছে তবলার তালিম নিয়েছিলেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনার পর বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন পিনাকী চৌধুরী। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন তিনি। লন্ডনে থাকাকালীন সময়েই পন্ডিত রবিশংকরের কাছে তালিম নেন তিনি। উদ্যোগপতি হিসাবে তাঁর কেরিয়ার ছিল ঝকঝকে। কিন্তু তাঁর নিয়তি ছিল ফিল্ম। একাধিক টেলিফিল্মের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ফিচার ফিল্মও তৈরি করেছে। ১৯৮৩ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমল পালেকর, তনুজাকে নিয়ে তৈরি করেছেন ‘চেনা অচেনা’। এরপর ১৯৯৫ সালে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে নিয়ে পরিচালনা করেন ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন?’ ১৯৯৬ সালে বানান ‘সংঘাত’। সেরা ফিচার বাংলা ছবি হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল এই ছবি। ২০০১ সালে পরিচালনা করেন ‘এক টুকরো চাঁদ’। তাঁর তৈরি অন্যতম মনে রাখার মতো সিনেমা ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’। এই ছবিও পেয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি ‘আরোহন’, মুক্তি পেয়েছিল ২০১০ সালে। দীপাবলিতে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়।