Prabhu Deva: ‘অনেক কাজ করেছি, এবার...’, ৫০ বছরে বাবা হয়ে আনন্দে আত্মহারা প্রভু দেবা...
Prabhu Deva: কন্যা সন্তানের বাবা হলেন জনপ্রিয় পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার প্রভু দেবা। সম্প্রতি তাঁর দ্বিতীয় পত্নী ডা. হিমানি সিং তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে তিন পুত্র রয়েছে প্রভুর। কন্যা সন্তানের জন্মের পরেই কাজ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রভু।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৫০ বছর বয়সে সন্তানের বাবা হলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার প্রভু দেবা(Prabhu Deva)। সম্প্রতি তাঁর দ্বিতীয় পত্নী ডা. হিমানি সিং তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। তবে এর আগেও বাবা হয়েছেন জনপ্রিয় এই পরিচালক। প্রথম পত্নীর সঙ্গেও তাঁর সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। সে হল প্রভুর চতুর্থ সন্তান।
আরও পড়ুন- Shah Rukh Khan: অবশেষে ধূমপান ছাড়লেন শাহরুখ? #AskSRK সেশনে সত্যিটা সামনে আনলেন সুপারস্টার...
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রভু দেবা জানান, ‘হ্যাঁ এটা সত্যি। আমি এই বয়সে আবার বাবা হয়েছি। আমি খুবই আনন্দিত, নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে।’ পাশাপাশি তিনি জানান যে কন্যা সন্তানের আগমনের পরেই নিজের কাজের পরিধি কমাতে চান তিনি। এবার বেশি সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান তিনি। প্রভু বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই নিজের কাজের পরিধি কমিয়ে দিয়েছি। আমার মনে হয়, আমি চারপাশে অনেক কিছু করেছি। আমি অনেক কাজ করেছি। এবার আমি আমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই’।
২০২০ সালে ডা. হিমানিকে বিয়ে করেন প্রভু দেবা। প্রথম স্ত্রী রামলতার সঙ্গে বিচ্ছেদের ৯ বছর পর ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন কোরিওগ্রাফার পরিচালক। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তিন পুত্র রয়েছে। যাঁর মধ্যে ২০০৮ সালে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তে হয়ে প্রয়াত হয় তাঁর বড় ছেলে। বাকি দুই ছেলে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রামলতার সঙ্গেই থাকে।
আরও পড়ুন- Sandipta Sen: ‘১৫ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে...’ #MeToo নিয়ে মুখ খুললেন সন্দীপ্তা...
দ্বিতীয় বিয়ে ও স্ত্রীয়ের কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি প্রভু দেবা। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রভুর ৫০ তম জন্মদিন উদযাপনের ভিডিয়োতে প্রকাশ্যে দেখা যায় তাঁকে। পরিচালককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
সেই ভিডিয়োতে তিনি জানান যে বিগত ৩ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে আছেন। প্রভুর সঙ্গে তাঁর এই জার্নি অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রভুর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমার বিষয়ে অনেক কিছুই আমাকে অবাক করে। তুমি খুবই ডিসিপ্লিনড পাশাপাশি সবসময়েই তুমি কাজে নিমজ্জিত থাক, এবং খুব মজার মানুষও। একজন মানুষ কীভাবে সফল, হাস্যকর, কেয়ারিং ও লাভিং হতে পারে, তুমি তার উদাহরণ। তোমার রসবোধ তুমি উপহার হিসাবে পেয়েছ। তোমার উপস্থিতিতে আমার চারপাশের সবকিছুই আনন্দে ভরে থাকে। আমি ভাগ্যবতী এবং আমার কাছে এটা আশীর্বাদ যে, তুমি আমার স্বামী’।