'জয় হিন্দ' লেখায় প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল পাকিস্তানের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানে জইশ ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানার ঘটনার পর অনেক বলিউড সেলেবই উচ্ছ্বাসিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় বায়ু সেনাকে স্যালুট জানিয়ে 'জয় হিন্দ' লিখেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। আর তাঁর এই 'জয় হিন্দ' লেখার কারণে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও UNICEF-এর কাছে পিটিশন দাখিল করল পাকিস্তান। 

প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া UNICEF-এর গুডউইল অ্যাম্বাসডর ও রাষ্ট্রপুঞ্জের শুভেচ্ছা দূত। তাই এই পদে থেকে প্রিয়াঙ্কার কাজ হল সারা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা দেওয়া, পরিবেশ রক্ষার কথা বলা এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবহেলিত শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের কথা বলা ও পরিষেবার ব্যবস্থা করা। তাই এমন পদে থেকে সমস্ত বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা সমস্ত বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবেন এটাই কাম্য বলে মনে করে পাকিস্তানের বেশকিছু বাসিন্দা। তাঁদের মতে, পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় 'জয়হিন্দ' লিখে প্রিয়াঙ্কা সঠিক কাজ করেননি। তাই অবিলম্বে প্রিয়াঙ্কাকে UNICEF-এর গুডউইল অ্যাম্বাসডর ও রাষ্ট্রপুঞ্জের শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছে পাকিস্তান। এই মর্মে পাকিস্তানিদের স্বাক্ষরিত একটি পিটিশনও রাষ্ট্রপুঞ্জ ও UNUCEF-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা অশোক চোপড়া ও মা মধু চোপড়া দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিকিৎসকের পদে ছিলেন। এমনকি প্রিয়াঙ্কাও ছেলেবেলার সেনাস্কুলের পড়াশোনা করেছেন। তাই ভারতীয় সেনার প্রতি তাঁর একটা আলাদা আবেগ থাকতে সেটাই স্বাভাবিক নয় কি? তবে পাক বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি প্রিয়াঙ্কা UNICEF-এর গুডউইল অ্যাম্বাসডর ও রাষ্ট্রপুঞ্জের শুভেচ্ছা দূত হিসাবে কাজ করেন তাই তিনি এধরনের টুইট করতে পারেন না। প্রসঙ্গত প্রিয়াঙ্কাকে সরানোর দাবি তুলে পাকিস্তানের তরফে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছেন তাতে সই করেছেন প্রায় ৪,২০০ মানুষ। 

প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ৪০জনেরও বেশি ভারতীয় সেনা জওয়ানের। আর সেই হামলার বদলা হিসাবেই ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত আনে ভারতীয় সেনা। আর সেই ঘটনার পরই উচ্ছ্বসিত বহু ভারতীয় সেলেবই সেনাকে স্যালুট জানায় 'জয় হিন্দ' লিখে। প্রিয়াঙ্কাও তার ব্যতিক্রম নন।