Sabyasachi Chowdhury: ‘মনে হচ্ছে কয়েকশো বছর পিছিয়ে গেছি...’
Sabyasachi Chowdhury: প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর পর নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। এমনকী মিডিয়াকেও এড়িয়ে চলেছেন। এড়িয়েছেন ক্যামেরাও। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত শোক লুকিয়ে সেটে ফিরেছেন অভিনেতা।
Sabyasachi Chowdhury, Ramprasad, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময় তো থেমে থাকে না, নিজের তালে সে এগিয়ে চলে, তা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন! প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর পর নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। এমনকী মিডিয়াকেও এড়িয়ে চলেছেন। এড়িয়েছেন ক্যামেরাও। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত শোক লুকিয়ে সেটে ফিরেছেন অভিনেতা। ফের এক ঐতিহাসিক চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। পর্দায় এবার তিনি কালীভক্ত রামপ্রসাদ। সেই ধারাবাহিকের ফার্স্টলুক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁকে পর্দায় দেখার দিন গুণছে অনুরাগীরা। বিগত কয়েকমাসে যেভাবে দেখা গিয়েছে সব্যসাচীকে, এবার একেবারে অন্য লুকে ধরা দিলেন তিনি। দাড়ি গোঁফ কেটে ফেলে একেবারে ক্লিন শেভ সব্যসাচী। এই ধারাবাহিকে সব্যসাচীর বিপরীতে দেখা যাবে সুস্মিলি আচার্যকে। বুধবার সেই ধারাবাহিকের প্রোমো শ্যুটের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন সব্যসাচী।
আরও পড়ুন- Arijit Singh Kolkata Concert: কনসার্টে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং...
সব্যসাচী বলেন, ‘খুব শীঘ্রই রামপ্রসাদ হয়ে আমি পর্দায় আসছি। রামপ্রসাদের কথা অল্প বিস্তর সকলেই জানেন। ১৭১৮ সালে কুমারহট্ট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন সাধক রামপ্রসাদ সেন। তাঁর জীবনের গোটা যাত্রাপথই তুলে ধরা হবে এই ধারাবাহিকে। কেমন ছিলেন রামপ্রসাদ সেন। একাধারে তিনি ছিলেন, সে কথা যেমন সত্য, সেরকমই তিনি সংসারীও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ছিলেন, পুত্র ছিল, পরিবার ছিল, তিনি একদিকে কবি ছিলেন তো অন্যদিকে গীতিকার, সুরকারও ছিলেন, তাঁর গানে মুগ্ধ হতেন সকলেই। তাঁর গানের মধ্যে দিয়েই আমরা বুঝতে পারি মা কালীকে কীভাবে উপলব্ধি করা যায়। সংসারে থেকেও তিনি যেভাবে মা কালীকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং শেষ অবধি খুঁজে পেয়েছেন, সেই যাত্রাই পুঙ্খানুপুঙ্খ তুলে ধরা হবে এই ধারাবাহিকে।’
গত ডিসেম্বরে ছিল সেই ধারাবাহিকের প্রোমো শ্যুট। সেই অভিজ্ঞতাই দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করলেন সব্যসাচী। তিনি বলেন, ‘মূলত গল্পটি ১৭০০ সালের মাঝামাঝি সময়ের গল্প। সেকথা মাথায় রেখেই আমরা সেট তৈরি করেছি। ডিসেম্বরের ঠান্ডায় মাঝরাতে শ্যুটিং করতে করতে মনে হয়েছে যে আমি কোথাও দাঁড়িয়ে কয়েকশো বছর পিছিয়ে গেছি। সেইসময় যেভাবে বিয়ের রীতি পালন করা হত সেভাবেই বিয়ের মন্ডপ সাজানো হয়েছে। অনেক রাতেও সবাই প্রবল এনার্জি নিয়ে কাজ করছে, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। প্রপসগুলোও সেই সময়ের। আমি ভাগ্যবান যে বছরের পর বছর এরকম একটা টিম ও চ্যানেলের সঙ্গে কাজ করতে পারছি।’ শেষে সবাইকে এই ধারাবাহিক দেখার আবেদন করেন সব্যসাচী।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)