করিনাকে বিয়ের দিন `প্রাক্তন` অমৃতাকে চিঠি লিখেছিলেন সইফ!
অমৃতাকে লেখা চিঠি পড়েছিলেন করিনা, তারপর?
নিজস্ব প্রতিবেদন: সইফ আলি খান, পতৌদি পরিবারের ছোট নবাবের বিবাহিত জীবনে দুই অধ্যায়। প্রথমে অমৃতা, দ্বিতীয় করিনা। একথা কমবেশি প্রায় সকলেরই জানা। ১৯৯১ সালে ১২ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন সইফ। তবে সেই বিয়ে শেষপর্যন্ত সুখের হয়নি। দীর্ঘ ১৩ বছর সংসার করলেও শেষপর্যন্ত ২০০৪ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয় সইফ-অমৃতার। এই বিবাহিত জীবনে সইফ ও অমৃতার দুই সন্তানও রয়েছে সারা আলি খান ও ইব্রাহিম খান।
যদিও সেসব এখন অতীত। পরবর্তীকালে ২০১২ সালেJ ১৬ অক্টোবর কাপুর পরিবারের কন্য করিনাকে বিয়ে করেন সইফ। বর্তমানে সইফ-করিনারও এক সন্তান রয়েছে, তৈমুর আলি খান। তবে সম্প্রতি ফের উঠে এসেছে সইফ আলি খানের প্রথম পক্ষের স্ত্রী অমৃতী সিংয়ের প্রসঙ্গ। সৌজন্য সারা। সইফ-অমৃতা কন্যা বলিউডে ডিবিউ করতে চলেছে। তারই মাঝে বাবার সঙ্গে কফি উইথ করণ সিজন-৬ এ হাজির হয়েছিলেন সারা। সেখানেই উঠে এল অমৃতার প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন-প্রিয়াঙ্কা-নিক যে উমেদ ভবনে বিয়ে করছেন, তার ১ দিনের খরচ জানেন?
সইফ জানান, করিনার সঙ্গে বিয়ের দিন তিনি 'প্রাক্তন' অমৃতাকে চিঠি লিখেছিলেন। অমৃতাকে পাঠানোর আগে সেই আবার পরেছিলেন করিনা কাপুর খান। শুনে চমকে গেলেন?
হ্যাঁ, ঠিকই পরছেন। সইফ জানান, করিনাই নাকি তাঁকে অমৃতাকে চিঠি লেখার জন্য অনুরোধ করেন। চিঠিতে নাকি নাকি সইফ তাঁর নতুন জীবন শুরু করার কথা জানিয়ে ও অমৃতার সঙ্গে কাটানো কিছু পুরনো স্মৃতি উঠে এসেছিল। তবে তাতে ঠিক কী লেখা ছিল তা অবশ্যই সইফ জানাননি। করিনা তাঁকে কতটা সমর্থন করেন, সবসময় তাঁর কীভাবে পাশে থাকেন, সেকথা বলতে গিয়েই 'প্রাক্তন' অমৃতাকে চিঠি লেখার কথা জানান ছোটে নবাব। আর এসব কথা মেয়ের সারার সামনেই বলেন সইফ।
আরও পড়ুন-'ভবানী' বাড়িতে দীপিকার গৃহপ্রবেশ, শ্বশুরবাড়িতে পা রাখলেন নববধূ
জানা যায় সারা আলি খানের সঙ্গে করিনাক সম্পর্কে বেশ ভালো। এমনকি ইব্রাহিম খানের সঙ্গেও। কফি উইথ করণে এসে সারার সামনে করিনার বেড রুম লুকের কথা বলতেও দ্বিধা করেননি সইফ। পাশাপাশি মেয়েকে কেমন পাত্রের হাতে তুলে দিতে চান সেকথাও জানান। যদিও সইফের এধরনের কথাবার্তায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সারা।
আরও পড়ুন-মেয়ের সঙ্গে মিউজিক্যাল চেয়ার খেললেন রাই সুন্দরী
প্রসঙ্গত, বেশকিছুদিন সারার বলিউডের ডেবিউ নিয়ে অমৃতা ও সইফের পৃথক দুই সাক্ষাৎকার সংবাদমাধ্যমের একই পাতায় উঠে এসেছিল। যদিও জানা যায়, সইফ মেয়ের পছন্দকে সম্মান করলেও প্রথম দিকে তিনি নাকি চাননি যে সারা অভিনয় কে পেশা হিসাবে বেছে নি। তিনি চেয়েছিলেন সারা নিউ ইয়র্কে যেমন পড়াশোনা করছে, সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করুক। অভিনয় পেশাটা ভীষণ অনিশ্চয়তার সেকারণেই সইফ এটা চাননি বলেও জানিয়েছিলেন।