একসময় লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতেন, নেটিজেনরা খুঁজে পেলেন সোনুর পুরনো ট্রেন পাস
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তুও হয়ে উঠেছে সোনু।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা নিয়ে দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে রাতারাতি 'নায়ক' হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। তিনি কোনও সুপার হিরো নন, তবুও কীভাবে ইচ্ছা থাকলেই গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তুও হয়ে উঠেছে সোনু।
একসময় সোনু নিজেও পঞ্জাবের সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই উঠে এসেছিলেন। মুম্বইয়ের আসার প্রথমদিকে শহরতলী এলাকাতে থাকতেন সোনু। সেসময় অভিনেতা যাতায়াত করতে লোকাল ট্রেনে। বহুবছর আগের (১৯৯৭ সাল) সোনুর লোকাল ট্রেনে যাতায়াতের পাস খুঁজে বের করেছেন এক নেট নাগরিক। যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো দিনের সোনুর লোকাল ট্রেনের সেই পাস শেয়ারও করেছেন। লিখেছেন, ''যিনি নিজেই একসময় কষ্ট করেছে, তিনি অন্য মানুষের কষ্ট বুঝবেন সেটাই স্বাভাবিক।''
আরও পড়ুন-সোনু সুদকে 'ভারত রত্ন' দেওয়ার দাবি উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়
পুরনো ট্রেনের পাসে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ৪২০ টাকা দিয়ে বরিভালি থেকে চার্জগেট যাতায়াত করতেন নিয়মিত। ট্রেনের পাসে দেখা যাচ্ছে ১৯৯৭ সালে সোনুর বয়র ছিল মাত্র ২৪ বছর। নেটনাগরিকের পোস্ট করা তাঁর পুরনো টিকিটের পাস নজরে পড়েছে অভিনেতা সোনু সুদের। পুরনো দিনের এই স্মৃতি চোখের সামনে আসায় নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন তিনিও, উত্তরে লিখেছেন, ''জীবনটা আসলেই একটি গোল বৃত্ত।''
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সোনু যা করেছেন তাতে অভিভূত দেশের সাধারণ নাগরিক। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশও, বিহারের মানুষের কাছে তিনি 'নায়ক' হয়ে উঠেছেন, কারণ সবথেকে বেশি এই দুই রাজ্যের শ্রমিকদেরই বাড়ি ফিরিয়েছেন তিনি। এমনকি বিহারের কিছু মানুষ সোনুর মূর্তি বানানোরও উদ্যোগ নিয়েছেন। যদিও সেক্ষেত্রে সোনু সাফ জানিয়েছেন মূর্তি না বানিয়ে ওই টাকা গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে।