নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বুধবার ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) জন্মদিন। ঐ দিন মাননীয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তাঁর অনুরাগী তারকারাও। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যবোধের একটি ঘটনা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়(Srijato Bandopadhayay)। সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনেই শ্রীজাতর প্রতি ধেয়ে আসে বেশ কিছু নেটিজেনদের তির্যক মন্তব্য। তবে কেউ কেউ আবার শ্রীজাতর লেখার শৈলী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যের প্রশংসাও করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অপ্রয়াসের সমারোহ নামক এক শীর্ষকে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সৌজন্য বিনিময়ের ঘটনা তুলে ধরেন শ্রীজাত। তিনি লেখেন কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহার তাঁকে আপ্লুত করেছে। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীজাত ও তাঁর স্ত্রী দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়। দর্শকাসনে বসে থাকা স্ত্রীয়ের সঙ্গে ইশারায় কথা বলতে দেখে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীজাতকে বলেন অনুষ্ঠান শেষে তিনি 'বৌমা' অর্থাত শ্রীজাতর স্ত্রী দুর্বার সঙ্গে আলাপ করবেন কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে তা আর সম্ভব হয়নি। দিন চারেক পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন কবির কাছে, এমনকি সরি বলেন তাঁর স্ত্রীকেও। মুখ্যমন্ত্রীর এই আটপৌরে ব্যবহার তাঁকে নিমেষে করে তুলেছিল কাছের মানুষ 'মমতাদি'। শ্রীজাত লেখেন, সেই ফোনকল পাওয়ার পর নিজেকেই নিজের কাছে দোষী মনে হয়েছিল কারণ 'কত অনুষ্ঠানে, সভায়, মেলায় কত স্বজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার প্রতিশ্রুতি রাখি। শেষমেশ ফেরার তাড়ায়, কাজের দৌড়ে হয়তো রাখা হয় না সেসব কথা। তার জন্য তাঁদের কাছে মার্জনা চাওয়ার কথা কই আমার তো মনে আসে না? পরেরবার দেখা হলে নিশ্চয়ই আক্ষেপ প্রকাশ করি, কিন্তু উদ্যোগ নিয়ে যোগাযোগ করে দুঃখপ্রকাশ করা...তা কখনও করি কি?'


আরও পড়ুন: Covid Positive Soham Chakraborty: পরিবার সহ দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত সোহম চক্রবর্তী, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে


শ্রীজাতর এই পোস্টকে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আনুগত্য, 'তাঁবেদারি' বলে তোপ দাগেন। কেউ লিখেছেন, 'এবার টিকিট পাকা', কেউ আবার লিখেছেন 'বঙ্গবিভূষণ পাকা হয়ে গেল', কেউ লিখেছেন, 'এটা শুভেচ্ছা বার্তা! আমি ভাবলাম দিদিকে বলো।' কেউ লিখেছেন, 'রাজার পৃষ্ঠপোষক ছাড়া কবি হওয়া অনেক টাই দুরূহ।সেই সপ্তদশ শতকের আগের সময়ে ফিরে গেছেন কবিগণ'। তবে অনেকেই প্রশংসা করেছেন শ্রীজাতর লেখনীর। লোপামুদ্রা মিত্র নেটিজেনদের ট্রোলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 'লোকজন এত হিংসুটে কেন', এই প্রশ্নও তুলেছেন। প্রযোজক রাণা সরকারও প্রশংসা করেছেন শ্রীজাতর। তিনি লিখেছেন, 'রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে এরকম আন্তরিক শুভেচ্ছা বার্তা জানানোর জন্য কলম ও শিরদাঁড়ায় এক্সট্রা জোর লাগে...আর একটা স্বচ্ছ অরাজনৈতিক পোস্টে যারা রাজনীতি করছেন তাদের মনুষ্যত্বের শিরদাঁড়াটা হারিয়ে গেছে বোঝা যায়।'