স্বস্তিকা ও টিটু সেন – ‘পাতাললোক’-এর অডিশনের নেপথ্যকাহিনি
স্বামী সঞ্জীবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ডলির চরিত্রটি নিপুণভাবে এঁকেছেন স্বস্তিকা
শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়
এই ছবিটি টিটু সেনের। আমাজন প্রাইমে স্ট্রিমড ‘পাতাললোক’ এখন দেশের সবথেকে আলোচ্য ওয়েব সিরিজ।এই সিরিজে বাকি অভিনেতাদের সঙ্গে চোখ টেনেছেন বাংলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সাংবাদিক সঞ্জীব মেহরার স্ত্রী ডলি মেহরার ভূমিকায়। চরিত্রটি এমনিতে কমপ্লেক্স শেডে তৈরি। সারাক্ষণ একটা উদ্বেগ কাজ করে ডলির মধ্যে, যাকে চিকিত্সার পরিভাষায় বলে অ্যাঙজাইটি ডিস-অর্ডার। স্বামী সঞ্জীবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ডলির চরিত্রটি নিপুণভাবে এঁকেছেন স্বস্তিকা। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর ও আশ্রয়হীন একটি কুকুর, সাবিত্রীর সম্পর্ক।ডলি চরিত্রটি বাঙালি আর কলকাতার বাঙালিদের কুকুর প্রেম স্বস্তিকার অভিনয়কে আরও রিয়েল করে তুলেছে।
‘পাতাললোক’ স্ট্রিমিং শুরু হওয়া থেকেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে গেছে নানা কোটেশন। এরমধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হয়েছে ‘A man who loves dog is a good man/ A dog who loves a man is a good man’. স্বস্তিকা তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডেলেও শেয়ার করেছেন এই কোট। স্বস্তিকা ও সাবিত্রীর কেমিস্ট্রির গোড়ায় আসলে এই টিটু সেন।২০১৮-র শেষের দিকে ‘পাতাললোক’ সিরিজের অডিশন কলকাতায় বসেই দিয়েছেন স্বস্তিকা। চিত্রনাট্যকার সুদীপ শর্মা ও পরিচালক প্রসিত রায়ের সঙ্গে আলোচনার পর স্বস্তিকা জানতে পারেন যে ওয়েব সিরিজের গোটাটা জুড়েই তাঁর সঙ্গে থাকবে একটি কুকুর। সেইমত কলকাতায় অডিশন প্ল্যান করা হয়। অডিশনে একটা শট নিতে হবে।
এমন সময়ে টিটু বারবারই শটের মধ্যে এসে হাজির হতে থাকে।কিছুতেই তাকে শট থেকে সরানো যাচ্ছিল না। তখনই স্বস্তিকা ও সত্রাজিত্ সিদ্ধান্ত নেন যে, ডলি চরিত্রটি যেহেতু কুকুর ভালবাসে, তাই শটে টিটু থাকুক। পরিচালক-প্রযোজক সত্রাজিত্ সেন স্বস্তিকার দীর্ঘদিনের বন্ধু।সত্রাজিতের কুকুর টিটু সেন, কলকাতার সেলেবমহলে খুবই জনপ্রিয়। এই বেলজিয়ান ম্যালিনয় মাত্র তিন মাস বয়সে ফেসবুকের যোগাযোগের মাধ্যমে এসে পৌঁছায় সত্রাজিতের কাছে। এখন তার বয়স পাঁচ বছর দু মাস। কলকাতার হাই- প্রোফাইল ডগ শোয়ে রীতিমত অংশগ্রহণ করে টিটু। সেই টিটুকে নিয়েই ‘পাতাললোক’-এর অডিশন শুট করেন স্বস্তিকা। শটগুলো নেন সত্রাজিত নিজেই। স্বস্তিকা নিজে কুকুরপ্রেমী। শুটিং চলাকালীন তাঁর নিজের কুকুর ‘ফুলকি’কেও বারবার মনে পড়েছে তাঁর। সাবিত্রীর সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন রসায়ন আলাদা করে নজর কেড়েছে। আর স্বস্তিকার এই সাফল্যে দারুণ খুশি আনন্দপুরের সেন পরিবার।