দিনের পর দিন, রিমান্ডে রেখে পরীমণিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো? প্রশ্ন তুললেন Taslima
ফেসবুকের পাতায় নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন তসলিমা। তাঁর প্রশ্ন রিমান্ডে থাকা পরীমণিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো?
নিজস্ব প্রতিবেদন : পরীমণির সমর্থনে প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের এক পোস্টে সরব হয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। আপাতত বাংলাদেশের র্যাব-এর হেফাজতে রয়েছেন পরীমণি। তারই মাঝে ফেসবুকের পাতায় নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন তসলিমা। তাঁর প্রশ্ন রিমান্ডে থাকা পরীমণিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো?
লম্বা পোস্টে পরীমণির একাধিক বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। তাঁর কথায় পুরুষ মানুষ বারবার পরীমণিকে ব্যবহার করেছে। পরীমণি সমর্থনে সুর চড়িয়ে তসলিমা লেখেন, ''পরীমণি সমাজের অধিকাংশ মেয়ের মতোই ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে। এক সাংবাদিকের প্রেমে পড়েছিল, তাকেই বিয়ে করবে ঘোষণা করেছিল। শেষ মুহূর্তে সে বিয়েটা ভেঙে দিতে সে বাধ্য হলো। কারণ সেই সাংবাদিক পরীমণির সিনেমার নিন্দে করেছিল, তাকে সিনেমা করতে বাধা দিচ্ছিল। এমন লোককে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তটি পরীমণি ঠিক নিয়েছিল। এক পরিচালক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় সে হুট করে এক রাতের নোটিশে বিয়ে করে ফেলেছিল তাকে, পরদিন টনক নড়ে, এ লোক তো সুবিধের নয়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হলো ছাড়তে। সুদর্শন এক পুলিশ অফিসারের প্রেমে সাড়া দিয়েছিল। অফিসারটি বলেছিল, সে অবিবাহিত। পরে যখন জানতে পারে সে বিবাহিত, পরীমণি সরে আসে। মেয়ে, তার ওপর সুন্দরী, তাকে যে কতভাবে পুরুষেরা এক্সপ্লয়েট করে! ''
আরও পড়ুন-ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে পুলিস আধিকারিকের মুখ থেকেই কেক খেলেন পরীমণি, ভাইরাল ভিডিয়ো
আর এর পরক্ষণেই পরীমণির পুলিসি রিমান্ডে থাকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তসলিমা প্রশ্ন তোলেন, ''এই যে তাকে রিমান্ডে নিচ্ছে দিনের পর দিন, রিমান্ডে তো শুনেছি মানুষকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে পরীমণিকে তো মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছেই, শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে না তো? ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো?''