Singer KK Dies: মহানগরেই জীবনের মঞ্চে 'কার্টেন ড্রপ', কেকে-র মৃত্যু ঘিরে তরজায় শাসক-বিরোধী
Debangshu জানান অনুষ্ঠানের পাস আসনসংখ্যার হিসেবেই বিতরণ করা হয়
![Singer KK Dies: মহানগরেই জীবনের মঞ্চে 'কার্টেন ড্রপ', কেকে-র মৃত্যু ঘিরে তরজায় শাসক-বিরোধী Singer KK Dies: মহানগরেই জীবনের মঞ্চে 'কার্টেন ড্রপ', কেকে-র মৃত্যু ঘিরে তরজায় শাসক-বিরোধী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/02/377579-kk.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল কেকে-র। শেষ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জ্যোতি, ছেলে নকুল এবং মেয়ে তামারা। ছিলেন গায়কের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। প্রিয় গায়ককে শেষবার সামনে থেকে দেখতে বৃহস্পতিবার ভারসোভা মহাশ্মশানে শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর অসংখ্য গুণমুগ্ধ।
অন্যদিকে যে অনুষ্ঠানের শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে, সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্যের শাসকদল এবং তার ছাত্র সংগঠনকে নিয়েও উঠেছে বহু প্রশ্ন। একই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে হলের পরিকাঠামো।
বাম ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানিয়েছেন, "প্যান্ডেমিকের পরবর্তী সময় ছাত্রছাত্রীদেরকে নরমাল লাইফে ফিরিয়ে আনার জন্য, ক্যাম্পাসের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এই কালচারাল ফেস্টগুলির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।" তিনি প্রেসিডেন্সি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের কথা তুলে ধরে বলেন সেই সংসদ ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পরিচালনা করে এবং তাঁরা খুব দক্ষতার সঙ্গে এই ফেস্ট পরিচালনা করেছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে আক্রমণ করে তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের যে কলেজে তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদ আছে সেখানে অ্যাডমিশন থেকে শুরু করে ফেস্ট সব জায়গায় টাকার নয়ছয় করাই কাজ। এই বিপুল অঙ্কের টাকার জোগান কোথা থেকে আসছে সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আগামী ৬ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কেকে-র স্মরণসভা করতে চলেছে SFI-র উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি।
তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন কম বয়সের উচ্ছ্বাস অনেক বেশি থাকে কিন্তু উদ্যোক্তাদেরকে এই উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তিনি IPL-র উদাহরণ দিয়ে বলেন KKR দ্বিতীয়বার জেতার পড়ে ইডেনে পুলিস কে লাঠি চালাতে হয় এবং সেই সময়ও বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন দুর্ঘটনা ঘটার পড়ে অনেকেই অনেক কিছু বলবে।
তিনি আরও বলেন যে নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। কিন্তু এর পরেও তিনি জানান অনুষ্ঠানের পাস আসনসংখ্যার হিসেবেই বিতরণ করা হয়।
বিরোধী দলের তোলা টাকার উৎসের প্রশ্নে তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরে এই অনুষ্ঠানগুলি করা সম্ভব হয়নি। ফলত অনেক টাকা জমে রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন প্রতিটি ছাত্র কলেজে ভর্তির সময় লাইব্রেরি সহ অন্যান্য ফি দেওয়ার মতোই ইউনিয়ন ফি দেয়। তিন বছর ধরে এই টাকা জমে থাকার ফলে বড় করে অনুষ্ঠান হবে সেটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: Raj Vs Srijit: সৃজিত=রাজ, সংঘাত
তাঁর আরও দাবি টাকার লেনদেন অনলাইনেই হয়েছে। ফলত টাকার হিসেবে কোনও গরমিল নেই। তিনি কিছু ছবি দেখিয়েও দাবি করেন কেকে স্টেজে ওঠার পরেও পিছনের দিকে বেশ কিছু আসন ফাঁকা ছিল।
আগামী কিছুদিনে কলকাতার বেশ কিছু কলেজের ফেস্ট আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। ৩ জুন নজরুল মঞ্চে হওয়ার কথা CIEM-র ফেস্ট। আসার কথা TRAP-র। ৮ জুন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ফেস্ট। জুবিন নটিয়াল এবং সুনিধি চৌহান আসার কথা নেতাজি ইনডোরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির ফেস্ট হওয়ার কথা সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানে আসার জন্য কথা চলছে জেমস, অর্ণব, অর্ক এবং ফসিলস। মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজের তারিখ চূড়ান্ত না হলেও কুনাল গাঞ্জাওয়ালা এবং আরমান মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। নজরুল মঞ্চে হওয়ার কথা থাকলেও তারা বর্তমানে কালিন্দী মাঠে করার কথা ভাবছেন।