জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলে গেলেন 'চোখে'র জন্মদাতা! তিনি একজন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার। তিনি উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। আজ, মঙ্গলবার সন্ধে ৫:৫০ মিনিটে পরলোকগমণ করেছেন। রেখে গেলেন তাঁর দুই কন্যা-- চিত্রাঙ্গদা এবং ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bharat Bandh: কতক্ষণ বনধ? কী কী খোলা থাকবে? দেশ জুড়ে চলবে বিক্ষোভ-হিংসা? রাস্তায় বেরনো যাবে তো!


জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। তবে গত ৩-৪ দিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের অনেকটাই অবনতি ঘটে। এদিন তাঁর রিজেন্ট পার্কের বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঋতাভরী চক্রবর্তীর বাবা। মৃত্যুকালে উৎপলেন্দুর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ভিড় থেকে সরে থাকা উৎপলেন্দু চক্রবর্তী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। 'ময়নাতদন্ত', 'চোখ', 'দেবশিশু'র মতো ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন বাঙালিকে।


১৯৪৮ সালে জন্ম উৎপলেন্দুর। স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনা। ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তরুণ বয়সের একটা বড় সময় তিনি পুরুলিয়ায় আদিবাসীদের মধ্যে কাটান।


উৎপলেন্দুর কর্মজীবন শুরু হয় স্কুলশিক্ষক হিসেবে। তবে পরে তিনি সিনেমাশিল্পের দিকে ঝোঁকেন। তাঁর সৃষ্টিজীবন কলকাতাতেই শুরু। তিনি ছবির পাশাপাশি অনেক তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেছিলেন। কাজ করেছেন দূরদর্শনের জন্যও। মোট ছটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করেছিলেন উৎপলেন্দু। প্রসব (১৯৯৪) তাঁর শেষ কাজ। তাঁর বিশিষ্ট কাজের মধ্যে পড়ে 'ময়না তদন্ত' (১৯৮০), 'চোখ' (১৯৮৩), 'ফাঁসি' (১৯৮৮)। তথ্যচিত্রে খুব চিত্তাকর্ষক কাজ করেছিলেন সত্যজিতের সঙ্গীত নিয়ে, দেবব্রত বিশ্বাসকে নিয়ে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। 


আরও পড়ুন: Kolkata Tide: ফের বিপর্যয়! পাহাড়প্রমাণ ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যাবে কল্লোলিনী কলকাতা?


তবে, মূলত 'চোখ'-এর পরিচালক হয়েই যেন তিনি বেঁচে ছিলেন এবং বেঁচে থাকবেনও বাঙালি চলচ্চিত্র রসিকের মনে ও মননে। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)