Black fever: ফের বাংলার মাথাব্যথা কালাজ্বর! কী ভাবে রোগ চিনবেন?
হঠাৎ করেই আবার পশ্চিমবঙ্গের ১১ টি জেলায় বেশ কয়েকজনের মধ্যে কালাজ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দার্জিলিং, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কালিম্পংয়ে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও কালাজ্বের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ১১টি জেলায় ৬৫জন কালাজ্বরে (Black fever) আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এ খবর। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কালা-আজার, কালা দুঃখ, অথবা কালা জ্বর (kala-azar) সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর পর পর ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কালাজ্বর সাধারণ ভাবে এপিডেমিক হিসাবেই রয়ে গিয়েছে। এখন হঠাৎ করেই আবার পশ্চিমবঙ্গের ১১ টি জেলায় বেশ কয়েকজনের মধ্যে কালাজ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
কালাজ্বরের সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যে নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতর। দার্জিলিং, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কালিম্পংয়ে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও কালাজ্বের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে কালাজ্বরে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে।
মাটির স্যাঁতসেতে দেওয়াল বা মেঝেতে স্ত্রী স্যান্ড ফ্লাই ডিম পাড়ে। সেই মাছির শরীরে বাস করে পরজীবী। তা থেকেই কালাজ্বর সংক্রমিত হয় মানবদেহে। রোগ নির্মূল করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের পাকাবাড়ি ও শৌচালয় করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। স্যান্ড ফ্লাই মশার মত উড়তে পারেনা। তাই স্যান্ড ফ্লাই একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়ে গিয়ে যে সংক্রমণ ছড়াবে এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। মানুষই এর প্রধান বাহক। অতএব আক্রান্ত এলাকার মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে র্যাপিড টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরজীবীর প্রকোপে হওয়া লিসম্যানিয়াসিস রোগের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ হল এই ভিসেরাল লিসম্যানিয়াসিস, যা কালাজ্বর নামেই অধিক পরিচিত। এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর থেকে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ২মাস থেকে ৬মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। বলে রাখা জরুরি। কালাজ্বর বহু আগে বিলুপ্ত ধরা হত। আমাদের বঙ্গসন্তান উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার করেন।
আরও পড়ুন, Covid 19: চোখ রাঙাচ্ছে চতুর্থ ঢেউ; দেশে একদিন আক্রান্ত ২০,০৪৪, মৃত ৫৬