করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কাওয়াসাকি ডিজিজ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে শিশুদের! দাবি সমীক্ষায়
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ভারতেও প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে মৃত্যুর হার এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের স্বাস্থ্য।
দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও শিশুদের মধ্যে প্রদাহজনিত নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিচ্ছে। জ্বর, সর্দি, ত্বক শুষ্ক হয়ে খোসা ওঠা, হাতের তালু বার বার ঘেমে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে রক্তের শিরা ও ধমনীর মাধ্যমে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় কাওয়াসাকি (Kawasaki disease) ডিজিজ বলা হয়। মূলত পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই কাওয়াসাকি ডিজিজে আক্রান্ত শিশুর শরীরে জ্বর, সর্দি, ত্বক শুষ্ক হয়ে খোসা ওঠা, হাতের তালু বার বার ঘেমে ওঠার মতো সমস্যা ছাড়াও শরীরে লালচে র্যাশ, কনজেক্টিভাইটিস, ঠোঁট এবং জিবে প্রদাহ বা জ্বালা ভাবের সমতো সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: ফের চিন, শুকর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর জি-৪ ভাইরাস
সম্প্রতি পুনের ভারতী বিদ্যপিঠ হাসপাতালেও এমন বেশ কয়েকটি কেস সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, আমেরিকা, ব্রিটেন বা ইতালিতেও করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর শিশুদের মধ্যে এই সব সমস্যা দেখা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রেও উপসর্গগুলি অনেকটাই এই কাওয়াসাকি ডিজিজের মতো। কাওয়াসাকি ডিজিজে আক্রান্ত শিশুর জ্বর অন্তত ৫-৬ দিন থাকে। এই সময় একই সঙ্গে অন্য সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে তেমন ভয়ের কিছু নেই। নির্দিষ্ট চিকিৎসায় এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।