করোনার চিকিৎসার ‘অব্যর্থ’ ওষুধ ভাল্লুকের পিত্ত! দাবি চিনা গবেষকদের
চিনের ভেষজ চিকিৎসা-ধারার গবেষকদের দাবি, ভাল্লুকের পিত্ত দিয়ে করোনা আক্রান্তদের সারিয়ে তোলা সম্ভব!
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস ত্রাশের সৃষ্টি করেছে। ক্রমশ বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বের ১৮৫টি দেশ যুদ্ধ করছে মারণ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। করোনা আতঙ্কে বিশ্বের শতাধিক দেশেই এখন লকডাউন চলছে।
তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল, এই ভাইরাসের এখনও কোনও টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার করা যায়নি। এখনও এই বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ম্যালেরিয়া আর এইচআইভি-র ওষুধ প্রয়োগ করে বিকল্প পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে নাকি করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ‘অব্যর্থ’ ওষুধ পেয়ে গিয়েছেন চিনের ভেষজ চিকিৎসা-ধারার গবেষকরা! তাঁদের দাবি, ভাল্লুকের পিত্ত দিয়ে করোনা আক্রান্তদের সারিয়ে তোলা সম্ভব! এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে করোনা চিকিৎসার নাকি সরকারি ছাড়পত্রও পেয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাল্লুকের পিত্তর ব্যবহারের ইতিহাস প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন। ভাল্লুকের শরীরের ক্যাথারচার বসিয়ে এই পিত্ত সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই পিত্ত থেকেই বানানো হয় ওষুধ।
China approves use of bear bile to treat coronavirus patients.
Animal welfare groups outraged as move comes just weeks after China banned the sale of wild animals for food, citing the risk of diseases spreading from animals to humans https://t.co/Rldw3vFfTS pic.twitter.com/RCq2Hc3kWJ
— AFP news agency (@AFP) April 2, 2020
চিনের এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্ব চিকিৎসক-গবেষক মহলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাল্লুকের পিত্তে থাকা ‘উর্সোডায়োল’ নামের যৌগ মৃতপ্রায় কোষকেও কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ করে তুলতে পারে, একথা ঠিক। কিন্তু করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই ‘উর্সোডায়োল’ নামের যৌগ কতটা কার্যকর তা নিয়ে এখনও সন্দিহান বিজ্ঞানীরা!
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও, দাবি মার্কিন গবেষকের
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনে করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাল্লুকের পিত্তর ব্যবহার পরোক্ষ ভাবে বন্যপ্রাণীর চোরা-শিকারের আশঙ্কাই বাড়িয়ে দিচ্ছে সারা বিশ্বে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই পরিবেশবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে এই খবর।
এমনিতেই চিনে শতাধিক প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মাংস খাওয়ার রীতি বিশ্বজুড়ে চোরা শিকারীদের বেআইনি ব্যবসার পথকেই সুগম করেছে। ইদানীং, করোনা আতঙ্কের জেরে সেই ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়লেও চিনের এই ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি বন্যপ্রাণীর চোরাশিকার এবং এর সঙ্গে জড়িত বেআইনি ব্যবসাকে ফের উস্কে দিচ্ছে বলে মত বিভিন্ন মহলের। এই ঘটনায় চিনের নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন মহলের হাজার হাজার মানুষ।