নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশ ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। রাজধানী দিল্লিতে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। দেশজুড়েই বাড়ছে আতঙ্ক। এরকম এক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল আইসিএমআর (ICMR)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের(ICMR) প্রধান আজ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, করোনার এই দ্বিতীয় ওয়েভ আগের থেকে কম শক্তিশালী। অর্থাৎ সংক্রমণের ভয়াবহতা অনেক কম। ১০,০০০ মানুষের উপরে এক সমীক্ষা করে আইসিএমআর জানিয়েছে, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হারে খুব কম পার্থক্য রয়েছে। বাজারে জল্পনা ছড়াচ্ছে, এবার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা পুরোপুরি একটা মিথ। 


আরও পড়ুন-Covid 19: করোনা মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য, Mamataর টুইট


আইসিএমআর প্রধান আরও জানিয়েছেন, এবার করোনা রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ অনেকটাই বেশি। তবে আগের বারের মতো শুকনো কাশি, গাঁটে ব্যথা ও মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ কম। করোনা চিহ্নিত করতে আরটিপিসিআর টেস্টই (RTPCR Test) সবচেয়ে সেরা। দুটি জিনের উপরে এই টেস্ট হয় । ফলে ধরা না পড়ার কোনও কারণ নেই।


আরও পড়ুন-লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ, আজ থেকে ৬ দিনের লকডাউন রাজধানীতে



করোনার নতুন ঢেউ সম্পর্কে ক্লিনিক্য়াল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেন, প্রথমবার দৈনিক ১ লাখ মানুষ সংক্রমিত হতে ৫০ দিন লেগেছিল। সেখানে এবার আমরা ১০ দিন পৌঁছেছি।  আমি মনে করি, এই রোগ ছোঁয়াছে অনেক বেশি। ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪৫ বছরে বেশি বয়স্কদের। ফলে এবার দেখা যাচ্ছে ১৮-৪৫ বছরের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। শ্বাসকষ্টের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষকে বলব মাস্ক পরে থাকুন। খুব খারাপ দিন সামনে আসছে।


এনিয়ে আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি শান্তনু সেন বলেন, আগে থেকে সতর্ক হলে করোনা পরিস্থিতি এই অবস্থায় পৌঁছাত না। দ্বিতীয়বার ভাইরাসটা মিউটেট করেছে। এতে তরুণরা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে একদফা য় ভোটের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি শেষ ৩ দফা একবারে করার অনুরোধ করেন। তা মানেনি নির্বাচন কমিশন। এখন টানা টেস্ট করা প্রয়োজন, টিকার অভাব রয়েছে, ভেন্টিলেশনের অভাব রয়েছে। অনেকে কোভিশিল্ডের সেকেন্ট ডোজ নিতে পারবে নিনা সন্দেহ রয়েছে।