৫৬ শতাংশ করোনা-রোগী বাড়ি ফিরেছেন সুস্থ হয়ে! তাই সতর্ক থাকুন, আতঙ্কিত নয়
কত জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন, সে খবর জানেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং দেশের মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এ দিকে আবার এই ভাইরাসে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬। শুধু তাই নয়, করোনাভাইরাসের চিকিত্সার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও টিকা আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তার পরও কি চিন্তার কোনও কারণ নেই!
পরিসংখ্যান গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’-এর তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৯ জন। এ পর্যন্ত ৪,০৮৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এ তথ্য হয়তো আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু কত জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন, সে খবর জানেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক করোনাভাইরাস সম্পর্কিত এমনই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান:
১) এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৯ জন।
২) এ পর্যন্ত ৪,০৮৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস (মোট আক্রান্তের ৩.৫২ শতাংশ)।
৩) এই মূহূর্তে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত চিকিত্সাধীন রোগীর সংখ্যা ৪৭,৩৪০ (মোট আক্রান্তের ৪০.৭৮ শতাংশ)।
৪) করোনাভাইরাসের আক্রান্ত চিকিত্সাধীন ৪৭,৩৪০ জন রোগীর মধ্যে ৪১,৫৫২ জনের সংক্রমণ তেমন গুরুতর নয়।
৫) করোনাভাইরাসের আক্রান্ত চিকিত্সাধীন ৪৭,৩৪০ জন রোগীর মধ্যে ৫,৭৮৮ জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক (মোট আক্রান্তের ৪০.৯৮ শতাংশ)।
৬) এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট ৬৪,৬৩০ জন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন (মোট আক্রান্তের ৫৫.৬৮ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে কী কী কষ্ট হয়? জেনে নিন ৫৬,০০০ আক্রান্তের অভিজ্ঞতা
তাই পরিসংখ্যান গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’-এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক হলেও এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩.৫২ শতাংশ রোগীর, ৬ শতাংশের অবস্থা সঙ্কটজনক। সুতরাং, উপযুক্ত সময় যথাযথ চিকিত্সা আর সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলে করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার মতো তেমন কোনও পরিস্থিতি এখনও আসেনি। যথাযত সচেতনতায় এই ভাইরাসের আগ্রাসী বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।