নিজস্ব প্রতিনিধি : হঠাত্ প্রবল যন্ত্রণা। পা সোজা করতে পারছেন না। ভোর রাতে পায়ের পেশিতে টান লেগে আমাদের অনেককেই ভুগতে হয়। এ যে কী অসহ্য যন্ত্রণা, যাঁর হয় সে-ই জানে! মাসল ক্র্যাম্প হলে ব্যথা কখনও কখনও কয়েক সেকেন্ড থাকে। আবার কখনও কখনও পায়ের পেশিতে ব্যথা সারাদিন ধরে ভোগায়। শুধু যে ঘুমের মধ্যেই মাসল ক্র্যাম্প হবে, এমন নয়। কখনও কখনও হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পেশিতে প্রবল টান পড়তে পারে। অনেক সময় আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এই ধরণের সমস্যার জন্য দায়ি হয়। এছাড়াও একাধিক কারণ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মাসল ক্র্যাম্প কেন হয়! এবং এর থেকে রক্ষা পেতে কী কী করা যেতে পারে-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ICU-র মৃত্যুতে কম উচ্চতার মানুষের সংখ্যাই বেশি


পটাশিয়ামযুক্ত খাবার পেশিতে টান কমাতে সাহায্য করতে পারে। পটাশিয়াম পেশি ও স্নায়ুর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া কখনও কখনও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও সুফল দেয়। আসলে প্রোটিন পেশি ও টিস্যুর সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে। 


সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে ডাবের জল বা লেবু-জলও খেতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরে জলের ঘাটতির জন্যই মেস ক্র্যাম্প হয়। 


পটাশিয়ামের সেরা উত্স হল কলা। পটাশিয়াম কার্বন ভাঙতে ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। তাই কলা এক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।


কলার পাশাপাশি মিষ্টি আলু খেতে পারলেও ভাল। রাঙা আলু পটাশিয়ামের ভাল উত্স। এছাড়া এতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। সাধারণ আলু ও কুমড়ো আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের জোগান দেবে। তা ছাড়া যে কোনও ধরণের আলু শরীরে জল সরবরাহে সাহায্য করে। ফলে শরীর হাইড্রেট রাখতে মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার।


শীতকালে শিম ও মটরশুঁটি আপনার শরীরে প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান বাড়াবে। এছাড়া কালো বীন খেতে পারেন। এতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে ভালরকম। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অনেক সময় মেয়েদের মাসিকের সময় মাসল ক্র্যাম্পের হাত থেকে বাঁচায়। 


আরও পড়ুন-  তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবের সময় সমস্যা হচ্ছে? প্রস্টেট ক্যান্সার নয় তো!