ওয়েব ডেস্ক: পেটের গন্ডগোল? হজমে সমস্যা? খসখসে ত্বক? কাঁচা নিমপাতা খান। অব্যর্থ দাওয়াই। এমনকি ঘুম থেকে উঠে দুটো নিমপাতা চিবোলেই জব্দ সুগারও। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকমুখে অতিপরিচিত একটি প্রবাদ ঘোরাফেরা করে। নিমগাছের ভয়ে এইডস কাঁপে। নিমপাতা নাকি এইডস ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। বাড়িতে একটি নিমগাছ থাকলে ডাক্তারের কাছে নাকি যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিশেষজ্ঞরাই বলে থাকেন, কথাটা খুব একটা ভুল নয়। এটি একটি ঔষধি গাছ। ডাল, পাতা, রস, ফুল, ফল, তেল, ছাল, শিকড় সবই কাজে লাগে। স্বাদ তেতো। কিন্তু উপকার বহু।


ডায়াবেটিসের যম নিমপাতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিমপাতার রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়াবেটিসে দারুণ উপকার। ১০টি নিমপাতা গুঁড়ো করে বা চিবিয়ে খেলেও দারুণ উপকার। নিমপাতার রস খেলে ইনসুলিন নেওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়।


জন্ডিস প্রতিরোধে নিমপাতা। ২৫ থেকে ৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিসে দারুণ উপকার।


ম্যালেরিয়ার যম নিমপাতা। নিমপাতার নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া ভাল হয়। জলের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। নিমপাতা অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। চিকেন পক্সে নিমপাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।


মানসিক চাপ কমায় নিমপাতা। প্রতিদিন অল্প একটু নিমপাতার রসেই কেল্লা ফতে।


আলসার সারায় নিমপাতা। নিমপাতা ও নিম বীজের রস পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসারে দারুণ কাজ দেয়।


রক্ত পরিষ্কার ও চর্মরোগ সারায়। নিমপাতার রস প্রতিদিন ২-৩বার করে নিয়মিত প্রায় ২ মাস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। নিমপাতার সঙ্গে সামান্য কাঁচা হলুদ বেটে ৭ থেকে ১০দিন লাগালে চর্মরোগ ও পুরনো ক্ষত সারে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় নিমপাতা।


রূপচর্চায় নিমের গুণ- নিমপাতা স্কিন টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা সেদ্ধ করে প্রতি রাতে মুখে লাগালে ব্রণ, ক্ষতচিহ্ন, মুখের কালো দাগ দূর হয়। এইভাবে চুলে ব্যবহার করলে খুসকি ও চুল পড়া বন্ধ হয়।


ফেসপ্যাক তৈরিতে নিমপাতা। ১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলালেবুর খোসা অল্প জলে জলে সেদ্ধ করতে হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মেশাতে হবে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে ৩বার ব্যবহার করা যাবে। মধু ও নিম উন্নতমানের ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে।