জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশে কোভিড-আতঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। এর মধ্যে সব চেয়ে ভয়ের যেটা ছিল, তা হল আবার একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মানেই নতুন করে বহু মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়া। নতুন করে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া। ফের বহু মৃত্যু, তজ্জনিত আতঙ্কের আবহ, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের অসহায়তা। সব মিলিয়ে এক জটিল অবস্থা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: বৃষ্টি হবে? কড়া শীত পড়বে? জেনে নিন ক্রিসমাসের আবহাওয়া...


সেই প্রেক্ষিতে এবং ক্রিসমাসের আবহেই সবচেয়ে ভয়ের বার্তাটি এল। ভারতে এর মধ্যেই করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০ পেরল। এবং এর মধ্যে প্রায় জনাসত্তর পজিটিভ নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত-- জেএন.১। আজ, সোমবার বড়দিনেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪ হাজার ৫৪ জন কোভিড আক্রান্তের খবর মিলেছে। এর মধ্যে ৬৩ জন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এর মধ্যে আবার ৩৪ জনই গোয়ার। বাকিদের মধ্যে ৯ জন মহারাষ্ট্রের, ৮ জন কর্নাটকের, ৬ জন কেরালার, ৪ জন তামিলনাডু এবং ২ জন তেলঙ্গানার। মহারাষ্ট্র্রের ৯ জনের মধ্যে ৫ জনই থানে অঞ্চলের, দুজন পুণে শহর-এলাকার। এদিকে কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন এক আক্রান্ত।


তবে এবার আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশবাসীকে অকারণ আতঙ্ক ছড়াতে নিষেধ করেছে। সাবধান থাকতে অনুরোধ করেছে তবে প্যানিক করতে নিষেধ করেছে। তবে যাঁদের কো-মরবিডিটির সমস্যা আছে, কেন্দ্র তাদের অবশ্যই ফেসমাস্ক পরতে অনুরোধ করেছে।


এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1 কী? জানা যাচ্ছে, সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টেরই বংশধর। যে  BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টকে নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা। এই পিরোলা বা  BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টের থেকে কোথায় আলাদা সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1? JN.1-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটিই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে। Sars-CoV-2 এ স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। কারণ এই স্পাইক প্রোটিনই মানবকোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়। 


তবে সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর উপসর্গ বা সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে এখনও উদ্বেগের কিছু পাওয়া যায়নি। WHO জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে শরীর থেকে স্বাভাবিক ভাবে নিঃসৃত সিরামই  পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-কে প্রতিহত করবে।


আরও পড়ুন: Tamil Nadu: নীলগিরিতে তুষারপাত! উত্তরের সঙ্গে লড়ছে দক্ষিণ...


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, 'হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ' নিয়ে এগোতে হবে। সকলে এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময় এখন। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি, তবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। হাসপাতালগুলি প্রস্তুত আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। এজন্য 'মক ড্রিল' করতে হবে। সর্বস্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কমিউনিকেশন বাড়াতে হবে। রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)