ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় ছড়ানো করোনার নতুন স্ট্রেইন কতটা ভয়ঙ্কর? জানালেন মার্কিন বিজ্ঞানী

এক ভারতীয়র থেকে মালয়েশিয়ার ৪৫ জনের শরীরে সংক্রমিত হওয়া করোনার নতুন স্ট্রেইন আগের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ভয়ঙ্কর ও সংক্রামক! এমনটাই দাবি সে দেশের বিজ্ঞানীদের...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Aug 18, 2020, 10:03 PM IST
ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় ছড়ানো করোনার নতুন স্ট্রেইন কতটা ভয়ঙ্কর? জানালেন মার্কিন বিজ্ঞানী
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ কোটি ২১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৭৩ জনের। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। প্রতিদিনই ৫৫-৬০ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে করোনার সম্পর্কে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবি। তাঁদের দাবি, এক ভারতীয়র সংস্পর্শে এসে মালয়েশিয়ায় নতুন করে ৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের এক নতুন ধরনের স্ট্রেইন সংক্রমিত হয়েছে যা আগের চেয়েও ১০ গুণ বেশি সংক্রামক ও ভয়ঙ্কর!

সম্প্রতি সেখানকার এক ভারতীয় রেস্তরাঁ কর্ণধারের সংস্পর্শে এসে ৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। এই ৪৫ জনের মধ্যে ৩ জনের শরীরে নতুন চরিত্রের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব লক্ষ্য করেছেন মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন ধরনের করোনাভাইরাস বর্তমানে যে ক’টি রয়েছে তার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি সংক্রামক ও ভয়ঙ্কর! সে দেশের বিজ্ঞানীরা নতুন চরিত্রের এই করোনাভাইরাসের নাম দিয়েছেন D614G।

মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের এই দাবি চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদেরও। কারণ, ওই ভারতীয় রেস্তরাঁ কর্ণধার সম্প্রতি দেশ থেকে ঘুরে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরই তাঁর থেকে সে দেশের ৪৫ জনের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে করোনার এই নতুন স্ট্রেইন। কিন্তু D614G নামের করোনার এই নতুন স্ট্রেইন কতটা শক্তিশালী, কতটা ভয়ঙ্কর? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ ফাহিম ইউনুস (Faheem Younus)।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু! জুলাই পর্যন্ত ভারতে আক্রান্ত ২,৭২১ জন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Maryland) সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ ইউনুসের মতে, করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইন যেটিকে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীরা D614G নাম দিয়েছেন, সেটি বিগত কয়েক মাস ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ঘোরা ফেরা করছে। করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইনকে আগের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ভয়ঙ্কর ও সংক্রামক ভাবার মতো কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা ভিত্তি নেই। এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে এখনই অযথা আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই।

.