COVID-19: পোর্টেবল ভ্যান্টিলেটর তৈরি করে তাক লাগালেন কেরলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা!
পড়ুয়ারা কলেজ গবেষণাগারের জিনিসপত্র দিয়েই তৈরি করেছেন এই যন্ত্র। খুব বেশি হলে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এটি তৈরি করতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণের জেরে বেহাল অবস্থা সারা দেশের। দিনের পর দিন হু হু করে বাড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাস মূলত আক্রান্তের ফুসফুসে সংক্রমিত হয়। যার জেরে শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। সেই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য প্রয়োজন ভ্যান্টিলেটরের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সারা দেশে পর্যাপ্ত ভ্যান্টিলেটরের অভাব দেখা দিয়েছে।
এ বার সেই সমস্যারই সমাধান নিয়ে এল কেরলের একদল বায়োমেডিক্যাল পড়ুয়া। থ্রিক্কাকাড়া অঞ্চলের মডেল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছা্ত্রছাত্রীরা একেবারে সস্তায় নতুন এই ভ্যান্টিলেটরের মডেল তৈরি করেছে যা করোনা মোকাবিলায় আশার আশো দেখাচ্ছে দেশকে।
ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘এমার্জেন্সি ভ্যান্টিলেটর’ প্রতিযোগিতার জন্য এই যন্ত্র আবিষ্কর করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে করোনা যুদ্ধের অস্ত্র হতে চলেছে কেরলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের এই আবিষ্কার।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গঠনগত দিক দিয়ে অন্য ভ্যান্টিলেটরগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা এটি। পড়ুয়ারা কলেজ গবেষণাগারের জিনিসপত্র দিয়েই তৈরি করেছেন এই যন্ত্র। খুব বেশি হলে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এটি তৈরি করতে। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে মিলবে এই ভ্যান্টিলেটর। দাম হতে পারে বড়জোড় ১৫,০০০ টাকা!
আরও পড়ুন: COVID-19: ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট? উপুর হয়ে শুলেই দ্রুত মিলবে স্বস্তি!
মূলত কৃত্রিম ভাবে শ্বাস প্রক্রিয়া চালাতে ব্যবহার করা হয় ভ্যান্টিলেটর। কলেজের অধ্যাপক মিনিমল বি জানিয়েছেন, ড্রাইভ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কম্প্রেসরের মাধ্যমে পড়ুয়ারা এই ভ্যান্টিলেটর তৈরি করেছেন। কলেজের অন্তিম বর্ষের ছাত্র, দিনকরন পিএস, শ্বেথা টিএস, জোয়েল রায়— সকলে মিলে তৈরি করেছেন এই যন্ত্র। আপাতত পরীক্ষার পর কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে এই ভ্যান্টিলেটরটি।