Osteoporosis: লাফিয়ে বাড়ছে 'নীরব' ঘাতক! নিজের হাড়কে হাড়ে-হাড়ে চিনুন...

বর্তমানে কমবেশি অনেকেই অস্টিওপোরোসিসের সমস্যায় ভোগেন। মূলত হাড়ের খনিজ ঘনত্ব কমে যাওয়ার সমস্যাকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়। এক্ষেত্রে হাড়গুলো ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফলে ফ্র্যাকচারের প্রবণতা বাড়ে। যদিও নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এই রোগ দেখা দেয়।

Updated By: Oct 21, 2024, 05:15 PM IST
Osteoporosis: লাফিয়ে বাড়ছে 'নীরব' ঘাতক! নিজের হাড়কে হাড়ে-হাড়ে চিনুন...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্তমানে কমবেশি অনেকেই অস্টিওপোরোসিসের সমস্যায় ভোগেন। মূলত হাড়ের খনিজ ঘনত্ব কমে যাওয়ার সমস্যাকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়। এক্ষেত্রে হাড়গুলো ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফলে ফ্র্যাকচারের প্রবণতা বাড়ে। যদিও নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এই রোগ দেখা দেয়।

ইন্টারন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশন (আইওএফ) গবেষণা করেছে দেখেছে যে, বিশ্বব্যাপী ২০কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অস্টিওপোরোসিসকে একটি ‘নীরব’ রোগ বলা হয়, কারণ এটি সাধারণত ফ্র্যাকচার না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াই বাড়তে শুরু করে। তাই আইওএফ-এর দাবি করে যে, এই সমস্যা জনগণের খুবই গুরুত্ব সহকারে চিকিত্‍সা করা উচিত।

এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এর ঝুঁকি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রোগের প্রাথমিক ঝুঁকি হল বয়সের বৃদ্ধি। বিশেষ করে মেনোপজের পর মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ এই সময় মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও  রোগের পারিবারিক ইতিহাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির অপর্যাপ্ত গ্রহণ। এর পাশাপাশি রয়েছে ধূমপান এবং অত্যধিক অ্যালকোহল পান।

আরও পড়ুন:Drug Price Hiked: শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে যক্ষ্মা, একলাফে জরুরি ওষুধের দাম বেড়ে গেল দ্বিগুণ...

 এএম মেডিক্যাল সেন্টারের কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জন এবং মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ অভিরূপ মৌলিক বলেন, 'অনেক লোকই জানেন না যে যতদিন না পর্যন্ত তাদের ফ্র্যাকচার হচ্ছে, ততদিন তারা জানতেই পারবেন না যে তারা অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত। ইস্ট্রোজেন হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে একটি প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করে, এই কারণেই মেনোপজ-পরবর্তী মহিলারা, যারা ইস্ট্রোজেনের হ্রাস অনুভব করেন, তারা অস্টিওপোরোসিসের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।'

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্য বা পরিপূরকের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (দুগ্ধজাত দ্রব্য, শাকসবজি) ও ভিটামিন ডি (চর্বিযুক্ত মাছ, দুর্গযুক্ত খাবার) অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া হাড় ও পেশী মজবুত করার জন্য নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন। ওজন বহন ও পেশী-শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে ও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন- হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটার মত ব্যায়াম করতে হবে।

অস্টিওপরোসিস নির্ণয়ের জন্য সবচেয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতি হল- হাড়ের খনিজ ঘনত্ব (বিএমডি) পরীক্ষা, বিশেষ করে ডেক্সা স্ক্যানের মাধ্যমে। এটি সাধারণত তিনটি স্থানে করা হয়: উভয় নিতম্ব, কব্জি এবং এপি মেরুদণ্ড। এই রোগ সাধারণত ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তি,  মেনোপজ-পরবর্তী মহিলা, ক্যান্সার রোগী, কেমোথেরাপি নেওয়া ব্যক্তি, যারা দীর্ঘমেয়াদী স্টেরয়েড চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং যারা শয্যাশায়ী বা বয়স্ক ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.