করোনা চিকিৎসায় কমছে ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন! বদলাচ্ছে পরিস্থিতি
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আগের মতো ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ছে না। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ০.২২ শতাংশ রোগীকেই ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই ভারতে ৬০-৭০ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। তবে এই পরিস্থিতিতেও আশা জাগাচ্ছে দেশের সুস্থতার হার। করোনায় দেশজুড়ে সুস্থতার হার বর্তমানে ৭৪ শতাংশেরও বেশি।
দেশে করোনায় মৃ্ত্যুর হার ২ শতাংশেরও কম (১.৮৯ শতাংশ)। এর সঙ্গে ক্রমশ কমছে ভেন্টিলেটরের প্রতি নির্ভরশীলতা। গবেষক এবং চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে, করোনার চিকিৎসার পদ্ধতিতে ক্রমশ পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। ফলে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে আগের মতো ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ছে না।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা রোগীদের তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁদের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হত। এখনও রোগীদের তীব্র শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয় ঠিকই, তবে সংখ্যাটা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে রোগীর শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ, রক্ত পরীক্ষা-সহ একাধিক পরীক্ষার সাহায্যে ভেন্টিলেটর ব্যবহার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই আগের মতো ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ছে না। ৩১ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ০.২২ শতাংশ রোগীকেই ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: হোমিওপ্যাথির আর্সেনিকাম অ্যালবাম খেয়ে ৯৯.৬৯% ক্ষেত্রেই করোনা থেকে সুরক্ষা মিলেছে! দাবি সমীক্ষায়
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমণের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যাকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে সেগুলির চিকিৎসা করে প্রাথমিক পর্যায়েই পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-ভিত্তিক এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাফল্য মিলছে। প্রতিষেধক বা করোনা চিকিৎসার নির্দিষ্ট ওষুধ না মেলা পর্যন্ত অধিকাংশ রোগী যাতে সঙ্কটজনক পর্যায়ে না পৌঁছান, সে দিকেই গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখা হচ্ছে।