নিজস্ব প্রতিবেদন: নাক ডাকার সমস্যা অত্যন্ত বিব্রতকর! কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অনেক ক্ষেত্রে শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কারণে এই নাক ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। তবে আর একটি ভয়াবহ রোগের কারণেও এই নাক ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। রোগের নাম স্লিপ অ্যাপনিয়া। এই স্লিপ অ্যাপনিয়া হল নিঃশব্দ ঘাতকের মতো। এই সমস্যার ফলে মৃত্যু হতে পারে ঘুমের মধ্যেই, বেড়ে যেতে পারে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জার্মানির মিউনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ‘স্লিপ ডিসঅর্ডার’-এর এই সমস্যায় হৃদপিণ্ডের ডান এবং বাঁ দিকের ভেন্ট্রিকুলার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি ‘আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩ কোটি মানুষ ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’য় আক্রান্ত। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ মেডিসিন’-এর সভাপতি ডঃ রোনাল্ড ডি চার্ভিন জানান, দিনের পর দিন ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’র সমস্যা বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, টনসিলের সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের মতো সমস্যার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে স্লিপ অ্যাপনিয়া। আসুন চিনে নেওয়া যাক নিঃশব্দ ঘাতক স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রাথমিক উপসর্গগুলি...


স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ:


স্লিপ অ্যাপনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল নাক ডাকা। এ ছাড়াও সারাদিন ঘুমঘুম ভাব, ক্লান্তি, আচমকা মাথা ধরা, ভুলে যাওয়া, ঝিমুনি অনুভব করা, খিটখিটে মেজাজ স্লিপ অ্যাপনিয়ার উল্লেখযোগ্য উপসর্গ। সময় মতো এ রোগের চিকিত্সা না করাতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো সমস্যাও মারাত্মক আকার নিতে পারে। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমিয়ে পড়ার পর আমাদের ঘাড় ও গলার পেশি শিথিল হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাসনালীতে চাপ পড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কে ক্রমাগত অক্সিজেনের ঘাটতি হতে থাকে আর তাতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়।


স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়:


বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে এনে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে। এরই সঙ্গে শোবার ভঙ্গি বা অভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন, চিত হয়ে শোয়ার পরিবর্তে একপাশে ফিরে শোয়ার অভ্যাস করুন। সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। এ ছাড়াও, খাওয়ার ঠিক পরেই শোবেন না। সম্ভব হলে একটু হাঁটাচলা করে তবেই ঘুমোতে যান। এতে হজমের সমস্যা জনিত কারণে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমে যাবে। সমস্যা দীর্ঘদিনের হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।