ভারতে ছড়ানো করোনাভাইরাস ইউরোপ, আমেরিকা কাঁপানো ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল! দাবি বিজ্ঞানীদের
বিজ্ঞানীদের দাবি, ভারত-সহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় যে বিশেষ ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে তা ইউরোপ, আমেরিকার মতো ততটা আগ্রাসী নয়।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/24/171263-sudip2.jpg?itok=t-Ed54mI)
![ভারতে ছড়ানো করোনাভাইরাস ইউরোপ, আমেরিকা কাঁপানো ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল! দাবি বিজ্ঞানীদের ভারতে ছড়ানো করোনাভাইরাস ইউরোপ, আমেরিকা কাঁপানো ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল! দাবি বিজ্ঞানীদের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/22/245522-covid.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৭৪, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩,৮৬৯ জন। করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের।
কিন্তু ইউরোপ, আমেরিকায় যে ভাবে ত্রাশ তৈরি করেছে এই ভাইরাস, তেমনটা ভারতে এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। গবেষকদের মতে, পৃথিবীর সব প্রান্তে এই ভাইরাস সমান বিপজ্জনক নয়। এই ভাইরাসের ক্ষমতা কোথাও বেশি, কোথাও কম। মার্কিন সংস্থা ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ (National Academy of Sciences)-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, ভারত-সহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় যে বিশেষ ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে তা ইউরোপ, আমেরিকার মতো ততটা আগ্রাসী নয়।
মার্কিন বিজ্ঞানীদের দাবি, ভারত-সহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় যে প্রকারের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এর মারণ ক্ষমতা তা ইউরোপ, আমেরিকায় ছড়ানো COVID-19-এর তুলনায় অনেক কম। ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা, আগ্রাসন অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা COVID-19-কে তিন ভাগে (A, B এবং C) ভাগ করেছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, A এবং C-এর তুলনায় B টাইপের COVID-19 অনেকটাই দুর্বল। আর এই B টাইপের COVID-19 সংক্রমিত হয়েছে ভারত-সহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।
আরও পড়ুন: জলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস! ১৩ বছর আগের ঘটনা মনে করে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
তবে, ভারতে ছড়ানো করোনাভাইরাসের এই বংশ বা প্রজাতি অন্যান্যগুলির তুলনায় দুর্বল হলেও নিশ্চিন্ত হওয়ার প্রশ্নই নেই! মার্কিন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলির তুলনায় ভারতের জনসংখ্যা এবং জনঘনত্ব অনেকটাই বেশি। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন। সংক্রমণের গতিও হবে মারাত্মক!