কেন কাঁদেন আপনি? কান্নার পাসওয়ার্ড ব্রেক

সুকুমার রায়ের 'অবাক জলপান' নাটকে আমরা দেখেছিলাম জলের প্রকারভেদ। জলের রকম ফেরে চোখের জলে নাকি তৃষ্ণা মেটানো যায়। চোখের জল দিয়ে তৃষ্ণা মেটানো যায় কিনা জানা নেই, তবে পুরুষের মন জয় অনায়াসে করা যায় নারীর 'চোখের জল' দিয়ে। না, কোনও বৈষম্য করা হচ্ছে না। গবেষণায় দেখা গেছে, একমাসে নারী কাঁদে ৫.৩ বার যেখানে পুরুষের অনুপাত ১.৩। নারীর চোখের জল আসার পিছনে সামাজিক-অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক অনেক কারণই থাকতে পারে কিন্তু খুব সহজেই চোখের জল আসে কেন? এর পিছনে বায়োলজিক্যাল কিছু কারণ রয়েছে।

Updated By: Nov 5, 2015, 04:48 PM IST
কেন কাঁদেন আপনি? কান্নার পাসওয়ার্ড ব্রেক

ওয়েব ডেস্ক: সুকুমার রায়ের 'অবাক জলপান' নাটকে আমরা দেখেছিলাম জলের প্রকারভেদ। জলের রকম ফেরে চোখের জলে নাকি তৃষ্ণা মেটানো যায়। চোখের জল দিয়ে তৃষ্ণা মেটানো যায় কিনা জানা নেই, তবে পুরুষের মন জয় অনায়াসে করা যায় নারীর 'চোখের জল' দিয়ে। না, কোনও বৈষম্য করা হচ্ছে না। গবেষণায় দেখা গেছে, একমাসে নারী কাঁদে ৫.৩ বার যেখানে পুরুষের অনুপাত ১.৩। নারীর চোখের জল আসার পিছনে সামাজিক-অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক অনেক কারণই থাকতে পারে কিন্তু খুব সহজেই চোখের জল আসে কেন? এর পিছনে বায়োলজিক্যাল কিছু কারণ রয়েছে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, পুরুষের মধ্যে বিশেষ টেস্টোস্টেরন রয়েছে, যা অশ্রু আটকাতে সক্ষম। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক বেশি প্রোল্যাক্টিন যা অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে। বুঝুন এবার, সামনে দিওয়ালি একটি সোনার নেকলেস পেতে এখন থেকেই চোখ ছলছল করছে তো আপনার স্ত্রীর! তবে অশ্রু হওয়া না হওয়া এই দুই হরমোনই শুধুমাত্র নির্ধারণ করে, তা নয়। আরও বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

তিন ধরণের কান্না আমাদের চোখে লুকিয়ে থাকে। সবকিছুই নির্ভর করে রাসয়নিকও ও মেকানিজম তারতম্যের উপর।

চোখের মণি বাইরের আস্তরণে ল্যাক্রিম্যাল গ্ল্যান্ড দ্বারা আবৃত থাকে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রোটিন লিকুইড। যখনই আমরা চোখের পলক ফেলি এই প্রোটিন লিকুইড বের হতে থাকে। এরপর চোখের বাইরের আস্তরণ ভিজিয়ে দেয়। এই অশ্রুকে বসল্ টিয়ারস্ বলে থাকে যা সর্বদা চোখকে বাইরের পরিবেশ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

আর এক ধরণের অশ্রু, কাজ করলেই বেরিয়ে আসে। অবাক হলেন? রান্না ঘরে কখনও পেঁয়াজ কেটেছেন তো? পেঁয়াজের ঝাঁঝে যে চোখের জল বেরিয়ে আসে তাকে 'রিফ্লেক্স টিয়ারস্' বলে। এই 'রিফ্লেক্স টিয়ারস্' তাত্ক্ষণিক পরিবেশে চোখকে বাঁচাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ধোঁয়া, ঝড়, ধূলো কিংবা রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে বাঁচাতেই বেরিয়ে আসে 'রিফ্লেক্স টিসারস্'।   

 আবেগে চোখের জল। এই সময় সব থেকে বেশি পরিমাণ চোখের জল বের হতে দেখা যায়। নাক, চিবুক ভিজিয়ে দিয়ে কখনও কখনও জলের স্রোত লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত খুব দুঃখ, হতাশা এমনকী আনন্দে চোখে এই আবেগের জল ধরে রাখা যায় না। আপনি একে 'ট্রু ক্রাই' বলতেই পারেন।

.