ধূমপান করেন? আজ কিন্তু সিগারেট 'Commit to Quit'-এর দিন!

বিশ্ব জুড়ে ৬০ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছাড়তে চাইছেন। কিন্তু পেরেছেন মাত্র ৩০ শতাংশ।

Updated By: May 31, 2021, 01:24 PM IST
ধূমপান করেন? আজ কিন্তু সিগারেট 'Commit to Quit'-এর দিন!

নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ, ৩১ মে বিশ্ব তামাক বিরেোধী দিবস। পোশাকি নাম-- World No Tobacco Day। এদিনটিতে ধূমপায়ীদের উচিত হবে নতুন করে তামাক বর্জনের প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা।

এদিকে প্রতি বছরর ৩০ মে World Health Organization 'World No Tobacco Day' উদযাপন করে। এদিনটিতে তারা ধূমপায়ীদের ধূমপানের ক্ষতি সম্বন্ধে সতর্ক করে। যা এবারে এই Covid-19-পর্বে খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এ বছরে WHO একটি ক্যাম্পেনও করছে--  'Commit to Quit'। 

হু জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে ৬০ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছাড়তে চাইছেন। কিন্তু পেরেছেন মাত্র ৩০ শতাংশ। আসলে  ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এ কথা সকলেই জানে! সিগারেটের প্যাকেটেও বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ছাপা থাকে। কিন্তু এত কিছুর পরেও ধূমপায়ীরা সচেতন নন। 

আরও পড়ুন: Black Fungus-য়ে আক্রান্ত হচ্ছে এবার বাচ্চারা, অবস্থা আশঙ্কাজনক

চিকিৎসক ও মনোবিদদের পরামর্শ-- সিগারেট ছাড়তে হবে, এই ইচ্ছেটাই বড়। তবে, সিগারেট ছাড়ার পর  শরীরে ও মনে যে অস্থিরতা আসে, তার মোকাবিলা করতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদল আনার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপান ছেড়ে 'নিকোটিন উইথড্রয়াল সিম্পটম'-এ আক্রান্ত হলে এই সব খাবার  সিগারেটের প্রতি তীব্র টান থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

যেমন, চিউইং গাম। নিকোটিনের আসক্তিকে কমিয়ে দেয় মিন্ট। দিনের কোন সময়ে সিগারেট খেতেন, তা খেয়াল করুন। এ বার সেই সময়টা সিগারেটের বদলে মুখে ফেলে রাখুন কয়েক দানা মৌরি। টক জাতীয় ফল ও ড্রাই ফ্রুটসও খুব কার্যকরী। এই সব ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। কমলালেবু, পাতিলেবুর অ্যান্ট-টক্সিন ক্ষমতা শরীরে নিকোটিনের কু-প্রভাব কমায়। ড্রাই ফ্রুটসে ক্যালোরি বেশি থাকায় শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া জল তো রইলই। ধূমপান পরবর্তী সময়ে নেশার টান কমাতে জল অত্যন্ত উপকারী। শরীরের প্রয়োজন বুঝে সঠিক পরিমাণ জল খান এই সময়। জল শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখে। শরীরকে আর্দ্র রাখে। ফলে সিগারেট ছাড়ার পরের অবস্থার অস্থিরতা অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারে। বরং ক্যাফিন যুক্ত তরল, যেমন চা-কফি এ সব এড়িয়ে চলুন। এতে শরীরে জলের চাহিদা বাড়ে।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৮ হাজারের বেশি শিশু, এটাই কি করোনার Third Wave-র ইঙ্গিত?

.