শ্রীনির জামাই বেপাত্তা, সমন জারি পুলিসের
স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের হদিশ পেতে বিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের বাড়িতে গেল মুম্বই পুলিস। দুপুরে চেন্নাইয়ে শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পানয়ের বাড়িতে গিয়ে জেরা করল পুলিস। শ্রীনির জামাই গুরুনাথকে সমন পাঠাল মুম্বই পুলিস। সোমবারের মধ্যে গুরুনাথকে মুম্বইয়ে হাজিরা দিতে হবে।
বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মেয়াপ্পান পুলিসি জেরার ভয়ে এখন বেপাত্তা। চেন্নাই সুপার কিংসের কর্ণধার। স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে যাঁকে জেরা করতে গিয়ে চেন্নাইয়ে বহুক্ষন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়েছে পুলিশকে। দেখা না পেয়ে মেয়াপ্পানের বাড়ির গেটের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সমনের নোটিস। সেই সঙ্গে দেখা না পাওয়ায় কাল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মুম্বই পুলিস। মুম্বইয়ে এসে দেখা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। না এলে তাঁকে ফেরার বলেও ঘোষণা করা হতে পারে।
কিন্তু কে এই মেয়াপ্পন। চেন্নাই সুপার কিংস কর্ণধার আসলে বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের মেয়ে রূপার স্বামী। দক্ষিণী চলচ্চিত্রের প্রযোজক। বলিউড তারকাদের মতন চলচ্চিত্রের দুনিয়া থেকে আইপিএলের ময়দানে প্রবেশ শ্বশুর শ্রীনিবাসনের হাত ধরে।
শ্রীনিবাসনের দল চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও-র পদে থেকে দলের সবকিছুই সামলান তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি বোর্ডের কাজ সামলাতেই শ্রীনিবাসনের সময় চলে যায়। ফলে দল গড়া থেকে শুরু করে আর্থিক বিষয় সবটাই দেখতে হয় মেয়াপ্পানকে। মেয়াপ্পান জড়িয়ে পড়ায় স্পট ফিক্সিং কান্ডে বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের নামও জড়িয়ে পড়েছে। বলা চলে এই কেলেঙ্কারিকে বোর্ডের অন্দর মহলের দরজা খুলে দিলেন মেয়াপ্পানই।
প্রযোজক থেকে আইপিএলের একটি দলের কর্ণধার হওয়ার ফলে মেয়াপ্পনের নেটওয়ার্কও ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। বলিউডের সঙ্গে তৈরি হয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সেখান থেকেই পরিচয় দারা সিংয়ের পুত্র বিন্দুর সঙ্গে। বন্ধুত্ব ক্রমশ গভীর হতে থাকে। বিভিন্ন কাজে বিন্দুর সাহায্য নেন গুরুনাথ মেয়াপ্পন স্পট ফিক্সিং কান্ডে অভিযোগ জড়িয়ে পড়েন বিন্দু। তাঁর কললিস্ট থেকেই প্রথম গুরুনাথ মেয়াপ্পানের নাম জানতে পারে মুম্বই পুলিস। প্রতিদিনই যে দুজনের ফোনে কথা হত সেই তথ্যও পেয়েছে পুলিস। বিন্দু জেরায় জানিয়েছেন দুবছর ধরে তিনি চেনেন মেয়াপ্পানকে। এই তথ্য জানার পরই মেয়াপ্পানকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস।