নজফগড়ে চেন্নাইয়ের জয়ের ধ্বনি আর হাসির রব
ঘরের মাঠে এবারেও হল না। ডেয়ারডেভিলসের আত্মবিশ্বাস পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানিতেই পড়ে রইল। দিল্লির ব্যাটিং বিপর্যয় এর বড় কারণ। এই ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে গতবার আইপিএলে ঝড় তুলেছিল। এই ঝড় তোলার পিছনে আর একজনের হাত ছিল। কেভিন পিটারসন। এবারে চোটের কারণে মাঠের বাইরে বসে একের পর এক হার দেখে চলেছেন।
চেন্নাই- ১৬৯/৪ (২০)
দিল্লি- ৮৩/১০ (১৭.৩)
চেন্নাই ৮৬ রানে জয়ী
ম্যাচের সেরা- মাইকেল হাসি
ঘরের মাঠে এবারেও হল না। ডেয়ারডেভিলসের আত্মবিশ্বাস পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানিতেই পড়ে রইল। দিল্লির ব্যাটিং বিপর্যয় এর বড় কারণ। এই ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে গতবার আইপিএলে ঝড় তুলেছিল। এই ঝড় তোলার পিছনে আর একজনের হাত ছিল। কেভিন পিটারসন। এবারে চোটের কারণে মাঠের বাইরে বসে একের পর এক হার দেখে চলেছেন।
বৃহস্পতিবার ফিরোজ সাহ কোটলায় ম্যাচের প্রকৃতিটা ছিল একটা পর্বতপ্রমাণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ধুলোয় মিশে যাওয়া 'তুচ্ছ' দলের অস্তিত্বের প্রমাণ। কিন্তু দিল্লি ব্যর্থ হল। নিজেদেরকে 'তুচ্ছ'-র গন্ডিতে বেঁধে রাখলেন।
টসে জিতে চেন্নাই ব্যাটিং করতে নেমে একটা ফর্মুলা বরাবর মেনে চলেছিল। বলা যেতে পারে মিস্টার কুলের ফর্মুলা। প্রথম দশ ওভার রানের গতি ছয়ের উপর রাখতে হবে। আর শেষ দশ ওভার যেনহেন প্রকারে দশ করে রাখতেই হবে। স্কোরবোর্ড খেয়াল করুন দশ ওভারের শেষে রান সংখ্যা ৬০, এক উইকেট খুইয়ে। তখন অপরাজিত মাইকেল হাসি ২৪ আর সুরেশ রায়না ১৪ রানে। রায়না, ইরফান পাঠানের বলে খোঁচা দিয়ে ৩০ রানে আউট হন। তারপর মহেন্দ্র সিং ধোনির আগমণ। বীরু রাজ্যে ধোনির ধ্বনি ধ্বনি রব। কোথাও হেলিকপ্টার শটের চিত্কার। তিনি দর্শকদের প্রত্যাশাও পূরণ করলেন উনিশ ওভারের মাথায়। যাদবের ফুল লেন্থ বল আর কবজি ঘুরিয়ে সেই চেনা শট! রোখে কে। অ্যাথেলেটিক্স ডেভিড ওয়ার্নার বাউন্ডারির ধার থেকে উড়ে একবার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু হেলিকপ্টার তখন চোখের নিমিষে ল্যান্ড করে গেছে ফিরোজ সাহ কোটলার প্যাভিলিয়নে। ধোনি আউট হন ৪৪ রানে মাত্র ২৩ বল খেলে। কুড়ি ওভার শেষে চেন্নাইয়ের ইনিংস ১৬৯ রানে শেষ হয়।
দিল্লি ১৭০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে (১) হারায়। কিন্তু তার আগে বীরেন্দ্র সেওয়াগ মিড উইকেটের উপর দিয়ে অসাধারণ একটা ওভার বাউন্ডারি মারেন অ্যালবি মর্কেলকে। আশা করা গিয়েছিল পুরানো ছন্দে বীরু শেষমেষ ঝড় তুলবেন। একদিকে পরপর আরও দুটি উইকেট হারায়। মনপ্রিত জুনেজা ১ আর অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনে ৬ রানে প্যাভিলয়নে ফেরেন। কিন্তু সেওয়াগও পাঁচ ওভারের মাথায় মহিত শর্মার শর্ট বলে মারতে গিয়ে ১৭ রানে আউট হন। সত্যি যখন অফফর্ম যায় একজন ক্রিকেটারে চেনা শটগুলোও কেমন যেন বেইমানি করে। না হলে এমন শর্ট বল মাঠের বাইরে পাঠাতে তিনি অভ্যস্থ। তারপর দিল্লির ব্যাটিং নিয়ে আর ব্যাখা করার কিছু ছিল না। বাকিটা শুধু আশা-যাওয়া ছিল। মাত্র ৮৩ রানে শেষ হয় দিল্লির ইনিংস।
চেন্নাই সুপার কিংস | ||
মাইকেল হাসি, মুরলী বিজয়, সুরেশ রায়না, এস বদ্রিনাথ, রবীন্দ্র জাডেজা, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, ডোয়েন ব্রাভো, অ্যালবি মর্কেল, ক্রিস মরিস, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহিত শর্মা |
||
ব্যাটিং স্কোর | ||
মাইকেল হাসি | নট আউট | ৬৫ |
মুরলী বিজয় | এলবিডব্লিউ বো মর্কেল | ১৮ |
সুরেশ রায়না | ক কেদার ও বো পাঠান | ৩০ |
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি | ক মেন্ডিস ও বো যাদব | ৪৪ |
ডোয়েন ব্রাভো | রান আউট মেন্ডিস | ৩ |
অতিরিক্ত: ৯ |
ওভার- ২০ উইকেট- ৪ |
১৬৯ |
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস বোলিং স্কোর | |||
বোলার | ওভার | রান | উইকেট |
শাহবাজ নাদিম | ৩ | ২২ | ০ |
ইরফান পাঠান | ৪ | ৩০ | ১ |
মর্নি মর্কেল | ৪ | ৪২ | ১ |
উমেশ যাদব | ৪ | ৩৪ | ১ |
বীরেন্দ্র সেহবাগ | ১ | ৯ | ০ |
অজিত আগরকর | ৪ | ২৯ | ০ |
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | ||
বীরেন্দ্র সহবাগ, ডেভিড ওয়ার্নার, মাহেলা জয়বর্ধনে, মনপ্রীত জুনেজা, কেদার যাদব, জীবন মেন্ডিস, ইরফান পাঠান, অজিত আগরকর, মর্নি মর্কেল, শাহবাজ নাদিম, উমেশ যাদব |
||
ব্যাটিং স্কোর | ||
ডেভিড ওয়ার্নার | বো মোহিত শর্মা | ১ |
বীরেন্দ্র সহবাগ | ক হাসি ও বো মোহিত শর্মা | ১৭ |
মনপ্রীত জুনেজা | এলবিডব্লিউ বো মোহিত শর্মা | ২ |
মাহেলা জয়বর্ধনে | এলবিডব্লিউ বো মরিস | ৬ |
জীবন মেন্ডিস | রান আউট রায়না | ১২ |
কেদার যাদব | ক ব্রাভো বো মর্কেল | ৩১ |
ইরফান পাঠান | ক ব্রাভো ও বো জাডেজা | ২ |
অজিত আগরকর | ক ব্রাভো ও বো অশ্বিন | ৩ |
মর্নি মর্কেল | বো অশ্বিন | ২ |
শাহবাজ নাদিম | নট আউট | ২ |
উমেশ যাদব | ক রায়না ও বো ব্রাভো | ১ |
অতিরিক্ত: ৪ |
ওভার- ১৭.৩ উইকেট- ৯ |
৮৩ |
চেন্নাই সুপার কিংস বোলিং স্কোর | |||
বোলার | ওভার | রান | উইকেট |
অ্যালবি মর্কেল | ৩ | ১৩ | ১ |
মোহিত শর্মা | ৩ | ১০ | ৩ |
ক্রিস মরিস | ২ | ১৩ | ১ |
ডোয়েন ব্রাভো | ১.৩ | ৮ | ০ |
রবীন্দ্র জাডেজা | ৪ | ২১ | ১ |
রবিচন্দ্রন অশ্বিন | ৪ | ১৬ | ২ |