সুন্দরীর দেশে তরী ডুবল বাদশার
আইপিএল-৬-এর শুরুটা অসাধারণ করেও দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার জয়পুরের সওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ১৯ রানে পরাজিত হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শিল্পা শেঠির দলের ১৪৪ রানের জবাবে ১৯ ওভারে মাত্র ১২৫ রানেই খতম হল কিং খানের দলের যাবতীয় লড়াই।
রাজস্থান রয়্যালস-
১৪৪/৬, ২০ ওভার (হজ ৪৬*, রাহানে ৩৬, নারিন ২৮/২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স-
১২৫ অল আউট, ১৯ ওভার (মরগ্যান ৫১, গম্ভীর ২২, ত্রিবেদী ২৩/৩, কুপার ১৫/৩)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী
আইপিএল-৬-এর শুরুটা অসাধারণ করেও দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার জয়পুরের সওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ১৯ রানে পরাজিত হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শিল্পা শেঠির দলের ১৪৪ রানের জবাবে ১৯ ওভারে মাত্র ১২৫ রানেই খতম হল কিং খানের দলের যাবতীয় লড়াই।
যদিও শুরুটা হয়েছিল প্রত্যাশা মতই। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। গতকালও ক্যারিবিয়ান ওয়ান্ডার সুনীল নারিনের বলের রহস্য ভেদ করতে হিমসিম খেতে থাকেন রাজস্থানের ব্যাটসম্যানরা। ব্রেট লির বলে মাত্র পাঁচ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাজস্থানের ভয়ঙ্করতম অস্ত্র শেন ওয়াটসন। দিল্লির বিরুদ্ধে কামাল অর্ধশতরানের মালিক তথা রাজস্থান অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ও ফেরেন ১৭ রানে। এরপর আজিঙ্কা রাহানে (৩৬) আর ব্র্যাড হজ (৪৬*) দলের হাল ধরেন। রজত ভাটিয়া আর নারিনের আঁটোসাটো বোলিংয়ের চোটে যখন মনে হচ্ছিল রাজস্থান বুঝি ১২৫ রানের সীমারেখা পার করতে পারবে না ঠিক তখনই ১৯তম ওভারে নারিনের সব হিসাব নিকাশ উল্টে দেন অনামী দীনেশ যাজ্ঞিক। ওই ওভারে শেষ দুটি বলে একটি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন যাজ্ঞিক। পরের দুই ওভারে নাইট বোলারদের উপর কর্তৃত্ব ফলিয়ে দলের জন্য লড়াইয়ে সহায়ক সম্মান জনক ১৪৪ রানের সীমারেখা খাড়া করেন হজ।
রাজস্থানের ১৪৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই নড়বড়ে দেখায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। রাজস্থানের স্বল্প পরিচিত খাঁটি ভারতীয় বোলিং ব্রিগেড কামাল দেখাতে শুরু করে সওয়াই মানসিংয়ের ২২গজে। রাহুল শুক্লার এক ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কালিস এবং বিসলা। এরপর সিদ্ধার্থ ত্রিবেদীর অসাধারণ স্পেলের কাছে নতি স্বীকার করেন নাইট অধিনায়ক, লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও মনোজ তেওয়ারি।
ইয়ন মরগ্যানের ৩৮ বলে ৫১ রানের (৩x৪, ৩x৬) অসাধারণ লড়াকু ইনিংসও নাইটদের ভরাডুবি আঁটকাতে পারল না। যে সময় মনে হচ্ছিল মরগ্যান বুঝি খেলার অভিমুখ বদলিয়ে শেষ ওভারে নাইটদের জন্য জয় ছিনিয়ে আনবেন ঠিক তখনই তাঁর উইকেটটি তুলে বিপক্ষের কফিনে পাকাপোক্ত ভাবে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন কেভিন কুপার। ট্র্যাজিক হিরো মরগ্যানের উইকেট পতনের সঙ্গেই নাইটদের জয়ের সমস্ত আশাই অস্তমিত হয়।