২৪ ঘণ্টা অনন্য সাধারণ দুলাল সরকার
শারীরিক উচ্চতা কম হওয়ায় সমাজ তাকে দিয়েছে বামনত্বের তকমা। পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলেও সহপাঠীদের রঙ্গ রসিকতায় অতিষ্ঠ হয়ে স্কুল ছাড়তে হয়। বাবা, মা ও ৫ ভাইয়ের সংসারে তিনিই রয়ে গেলেন ছোট্ট মানুষ। কীভাবে নিজেকে সমাজের কাছে সাধারণ মানুষের কাছে মেলে ধরবেন সেটাই হয়ে উঠেছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
পাড়ায় বা অনুষ্ঠান বাড়িতে জোকার সেজে মানুষের মনোরঞ্জনের কাজ করতে শুরু করলেন। অতি সামান্য পারিশ্রমিক। উপার্জনের সামান্য অর্থ তুলে দিতেন সংসারে। যেই সমাজ তাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল, সেই সমাজের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়াই তার স্বভাব। হঠাত্ই একদিন সুযোগ এল সিনেমায় অভিনয়ের। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর উত্তরা সিনেমায় বামনের চরিত্রে। ভালবেসে ফেললেন অভিনয়কে। এরপর একের পর এক টলিউড সিনেমায় সুযোগ পেলেন।
২০১৪। জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বছর। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটদের ছবি চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে নির্বাচিত হলেন। প্রমাণ করলেন নিজেকে। অভিনয়ের জন্য পেলেন সিলভার পিকক পুরস্কার। যেই সমাজ তাকে বিদ্রুপ করত, সেই সমাজের চোখে তিনি এখন সম্মানিত নাগরিক। এখন তার লক্ষ্য সমাজের ছোট্ট মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। কোনও অবহেলা, ভর্ত্সনা, বিদ্রুপ নয়, ভালবেসে কাছে টেনে নেওয়াই যেন উদ্দেশ্য হয় সমাজের।