ওয়েব ডেস্ক: কালো টাকা সাদা করার মেশিন। নোট বাতিলের পর অনেক ক্ষেত্রে এমনটাই হয়ে গেছে জনধন অ্যাকাউন্টের ভূমিকা। গরিব মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিচ্ছে কালো টাকার কারবারিরা।২৪ ঘণ্টাই প্রথম এ খবর সামনে আনে। সেই খবরেই সিলমোহল দিল শ্যামনগরের ঘটনা। জনধন আম আদমির জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট। কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে  বুমেরাং হচ্ছে এই জনধন অ্যাকাউন্ট গুলিই। সাধারণ, দরিদ্র মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে দেদার এই অ্যাকাউন্টে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। সরকারি হিসেবই চোখে আঙুল দেখিয়ে দিচ্ছে আসল ছবি।এখনও পর্যন্ত দেশে জিরো ব্যালান্স জনধন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি। এই অ্যাকাউন্টে বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়। নোট বাতিলের পর দেখা যাচ্ছে বহু জনধন অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা জমা পড়ে। ৯ নভেম্বরের পর প্রথম দু সপ্তাহে সারা দেশে জনধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। আয়কর কর্তাদের মতে, কালো টাকার কারবারিরা টাকা সাদা করতে গরিব মানুষের জনধন অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা করে জমা করেছে। আর এভাবে সব থেকে বেশি টাকা জমা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন শিক্ষক সম্মেলনে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন একাধিক সুযোগ-সুবিধা


হিসাব বলছে, এ রাজ্যে জনধন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬৮। নয়ই নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে জনধন অ্যাকাউন্টে জমা টাকার পরিমাণ ৬ হাজার দুশো ছিয়াশি কোটি টাকা। গড়ে প্রতি অ্যাকাউন্টে জমা টাকার অঙ্ক আড়াই হাজার। কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, নয়ই নভেম্বরের পর থেকে এ রাজ্যের জনধন অ্যাকাউন্টে গড় জমার পরিমাণ এক লাফে  অনেকটা বেড়ে গেছে। কিন্তু কোথা থেকে এল এত টাকা? কালো কারবারিরা গরিবের মাথায় হাত বুলিয়ে কালোকে সাদা করছে একথা আগেও বলেছে ২৪ ঘণ্টা। জনধন অ্যাকাউন্টের সোনার কাঠির ছোঁয়ায় কালো হয়ে যাচ্ছে সাদা। সরকারের হিসাবও সে দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে...
আসলে কাজটা কীভাবে করা  হচ্ছে সে টা আরো একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শ্যাম নগর।


আরও পড়ুন ১৮ তারিখ ১ লক্ষ কর্মী নিয়ে সিবিআই দফতর ঘেরাও করবে সিপিএম