২৪ ঘন্টার মহাপুজো স্বীকৃতির আলোতে উজ্জ্বল শহরের সেরারা
দীর্ঘ একমাসের লড়াই শেষ। পঞ্চমীর সন্ধেয় ঘোষণা হল বহু প্রতীক্ষিত ২৪ ঘণ্টা মহাপুজোর চূড়ান্ত ফল। দর্শকদের ভোটের বিচারেই সেরা পাঁচটি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেরার সেরা হয়েছে লেক গার্ডেনস্ পিপলস্ অ্যাসোয়িয়েশন। শিল্পের নিরিখে দুর্গাপুজো অনেকদিনই সৃজনশীলতার মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘ একমাসের লড়াই শেষ। পঞ্চমীর সন্ধেয় ঘোষণা হল বহু প্রতীক্ষিত ২৪ ঘণ্টা মহাপুজোর চূড়ান্ত ফল। দর্শকদের ভোটের বিচারেই সেরা পাঁচটি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেরার সেরা হয়েছে লেক গার্ডেনস্ পিপলস্ অ্যাসোয়িয়েশন। শিল্পের নিরিখে দুর্গাপুজো অনেকদিনই সৃজনশীলতার মঞ্চে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন আঙ্গিকে বিচার করে প্রতিবারই সেরা পুজোগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে সেরাগুলোকে বেছে নেওয়া হয়। এবার আমরা বাছাইয়ের ভারটা দর্শকদের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাঁদের বিচারের ভিত্তিতেই বেছে নেওয়া হল ৫টি সেরা পুজোকে। ২৪ ঘণ্টা মহাপুজো প্রতিযোগিতায় এক্কেবারে ফার্স্ট লেকগার্ডেনস পিপলস অ্যাসোশিয়েশন। দর্শকরা এসএমএসে যে ভোট দিয়েছেন, তাতে সেরার সেরা তারাই। লেক গার্ডেন্স পিপলস অ্যাসোশিয়েশনের পুজোয় এবারের থিম কেরালা কলামণ্ডলম। তাতে কেরলের নৃত্য সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা মহাপুজো প্রতিযোগিতায় সেরা প্রতিমার সম্মান জিতে নিয়েছে দমদম পার্ক তরুণ সংঘ। রঙ, উত্সব, দুর্গা, সৃষ্টি, মিলন, তরুণ সংঘের পুজোর বিষয় ভাবনায় এই পাঁচটি শব্দকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। শিল্পী প্রশান্ত পালের কল্পনায় মণ্ডপজুড়ে রয়েছে নানা রঙের খেলা। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে নজর কেড়েছে প্রতিমা।
সেরা মণ্ডপের পুরস্কার জিতে নিয়েছে নাকতলা উদয়ন সংঘ। প্রবেশদ্বার থেকে মূলমণ্ডপ পর্যন্ত প্রজাপতির জীবনচক্র ফুটিয়ে তুলেছে তারা। প্রতিমাও তৈরি হয়েছে প্রজাপতির আদলে। প্রজাপতির ডানায় মুক্তির বার্তা ছড়িয়েই পুরস্কার এল নাকতলা উদয়নের ঘরে।
সল্টলেকের এ ই ব্লক পার্ট ওয়ানের পুজোর থিম এবার মায়ের বাড়ি। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, তাঁদের মণ্ডপে এলেই দর্শকদের প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। সেকথা মাথায় রেখেই মণ্ডপের আবহ রচনা করেছিলেন তাঁরা। শিল্পী কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্তের কল্পনায় একটু একটু করে গড়ে উঠছে মণ্ডপ। দর্শকদের বিচারে সেরা থিমের পুরস্কার জিতে নিয়েছে সল্টলেকের এ ই ব্লক পার্ট ওয়ান।
সেলিমপুর ক্লাবের ঝুলিতে জুটল বিশেষ পুরস্কারের সম্মান। এবার তাদের পুজোর থিম নৃত্যের তালে তালে।
নাচের মুদ্রায় দেবীর নানা রূপ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সেলিমপুর ক্লাবের মণ্ডপে। আর এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ধুঁধুঁল। খুব সাধারণ ধুঁধুঁল আর খেজুর গাছের ছাল দিয়ে তৈরি হয়েছে পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপ।
চব্বিশ ঘণ্টা মহাপুজো প্রতিযোগিতায় শুরু থেকেই বিপুল সাড়া পেয়েছিলাম আমরা। ৫০টি পুজোর মধ্যে থেকে প্রথমে ১০ টি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়। সেরার লড়াইয়ে টক্কর দিতে প্রতিযোগিতার পারদ চরমে উঠেছিল। মহাপঞ্চমীর সন্ধেয় দর্শকের রায়ে পুরস্কৃত হল পাঁচটি পুজো।