পৃথিবীর সম্পদ বাঘ সংরক্ষণে ২৪ ঘণ্টার 'বাঘের জন্য আমরা'
সালটা ১৯৭৩। ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বে ওই বছরই ভারতে প্রথম বাঘ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। তারপর পেরিয়ে গেছে ৪ দশক। এর মধ্যে কতটা এগিয়েছে বাঘ সংরক্ষণের কাজ? এখনও কোথায় রয়ে গেছে খামতি? বিশ্ব বাঘ দিবসে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
এত সুন্দর সৃষ্টি কি শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির কোল থেকে হারিয়ে যাবে?
বাঘ না থাকলে বাস্তুতন্ত্র যে বিপন্ন হবে, সে কথার গুরুত্ব বুঝে ১৯৭৩ সালে এদেশে শুরু হয়েছিল বাঘ সংরক্ষণ। তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে ভারত সরকারের উদ্যোগে শুরু হয় প্রজেক্ট টাইগার। চোরাশিকারিদের হাত থেকে বনের রাজাকে বাঁচাতে গঠিত হয় টাইগার প্রোটেকশন ফোর্স। বাঘ-মানুষ সংঘাত এড়াতে একেবারে গোড়ার দিকে ২ লক্ষ গ্রামবাসীর অন্যত্র পুনর্বাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
শার্দুলকূলে রয়্যাল বেঙ্গলের কৌলীন্য সবচেয়ে বেশি। আমাদের ঘরের পাশে সুন্দরবন পৃথিবীর সেই ব্যাঘ্র প্রকল্প যেখানে বন্য বাঘের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘ দু'দশক পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের বক্সায় বাঘের হদিশ মিলেছে। মলের নমুনা পরীক্ষা করে অন্তত ২০টি বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও, বক্সায় এখনও পর্যন্ত বাঘ চোখে না পড়ায়, বিতর্ক কাটেনি। উন্নত প্রযুক্তির অভাব যে এর বড় কারণ, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে বাঘ সংরক্ষণে সমস্যা রয়েছে অনেক। কর্মীর অভাব, প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ তার মধ্যে অন্যতম। অতএব আর বিলম্ব নয়। বাঘের সঙ্গে জড়িয়ে আমাদের দেশের জাতীয় ঐতিহ্য। জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, প্রকৃতির বুকে এমন সব সৃষ্টি রয়েছে বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর। তাই বাঘ বাঁচাতে আরও উদ্যোগী হতে হবে সবাইকেই।